নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসে দিশেহারা বিশ্ব৷ এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে বিজ্ঞানীরা আরও ছয় ধরনের করোনা ভাইরাসের সন্ধান পেল৷ নতুন এই ভাইরাসগুলি করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পরিবারের সদস্য৷ তবে, নতুন করে সন্ধান পাওয়া ভাইরাসগুলির জেনেটিকিল মডেল কোভিড-১৯ থেকে আলাদা৷ এই ছয় করোনা ভাইরাসগুলি ভারতের প্রতিবেশি মায়ানমানের বাদুরের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে৷
করোনা ভাইরাস পরিবারের এই ছয় নতুন সদস্য মায়ানমারে পাওয়া তিন প্রজাতি বাদুরের শরীরে মিলেছে৷ এই তিন প্রজাতিপ বাদুর হল গ্রেট এশিয়াটিক ইলো হাউস ব্যাট, রিঙ্কল-লিপড ফ্রি টেলড ব্যাট এবং হর্সফিল্ড লিফ-নোজড ব্যাট৷ এই ছয়টি নতুন করোনা ভাইরাস আবিষ্কার করেছেন স্মিথসোনিয়ান গ্লোবাল হেলথ প্রোগ্রামের বিজ্ঞানী মার্ক ভ্যালিটুটো এবং তাঁর দল। বিজ্ঞানীদের রিপোর্ট অনুসারে, এটি একটি নতুন করোনা ভাইরাস কোভিড -১৯ পরিবারে সদস্য হলেও, তাদের জেনিটকিল মডেলে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। বিজ্ঞানীদের দলটি এখন খোঁজ করছে যে এই ছয়টি নতুন করোনার ভাইরাস মানুষের পক্ষে যতটা ক্ষতি করতে পারে৷ কোভিড -১৯ এর ফলে যে বিপর্যয় ঘটেছে, তা এই নয়া ভাইরাসেও ক্ষেত্রেও হতে পারে কি না, তার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে৷
Scientists discover SIX new coronaviruses lurking in bats that are in the same family as the SARS-CoV2 that causes COVID-19 https://t.co/h9Z3UjoSju
— Daily Mail Online (@MailOnline) April 15, 2020
বিজ্ঞানীদের এই দলটি মায়ানমারের ১১ প্রজাতির বাদুড়ের উপর গবেষণা করে৷ তার মধ্যে তিন প্রজাতির বাদুরে এই ছয় ধরনের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এই ভাইরাসের নামগুলি হল – Predict-CoV-90 (এশিয়াটিক ইলো হাউস ব্যাটে পাওয়া গিয়েছ), Predict-CoV-47 এবং Predict-CoV-82 (রিঙ্কল-লিপড ফ্রি টেলড ব্যাটে পাওয়া গিয়েছে) এবং Predict-CoV-92, 93 ও 96 (লিফ-নোজড ব্যাটে পাওয়া গিয়েছে)
বিজ্ঞানীদের দলটি ২০১৬ সালের মে মাস থেকে ২০১৮ সালের অগস্ট মাস ধরে মায়ানমারের জঙ্গল, শহর এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলি খোঁজ চালায়৷ ব্যাপক অনুসন্ধানের পর তারা ৭৫০টি নমুনা সংগ্রহ করেন৷ তাদের সংগ্রহ করা নমুনাগুলি করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মিলে গিয়েছে৷ তারপরই নতুন ছয়টি করোনা ভাইরাসের সন্ধান পান তারা৷ স্মুথসোনিয়ান গ্লোবাল হেলথ প্রোগ্রামের অন্য এক বিজ্ঞানী সুজান মারে বলেছেন, এই সমস্ত করোনা ভাইরাস বিপজ্জনক নয়, তবে এগুলির উপর আরও গবেষণা করার প্রয়োজন আছে৷
তিনি আরও বলেছেন, যতক্ষণ মানুষ এবং বাদুরে মধ্যে যোগাযোগ থাকবে, ততক্ষণে এই জাতীয় মহামারী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাঁর পরামর্শ, বন্যপ্রাণিকে জঙ্গলেই থাকতে দিন, ওদের বিরক্ত না করায় ভালো৷