সামসী: তৃণমূল কংগ্রেসের সীমাহীন দুর্নীতি, অপশাসন এবং বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে সোমবার বিকেলে রতুয়া(Ratua)-২ ব্লকের শ্রীপুরে জনসভা করল সিপিএম। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে এই সভা করেন বাম নেতৃত্ব। এদিন রাজ্যে দুর্নীতি, বেকারত্ব ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তাঁরা। ‘চোর তাড়াও, গ্রাম জাগাও, বাংলা বাঁচাও’-এই স্লোগান দেওয়া হয় সভা থেকে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম বলেন, ‘পুলিশ শাসকদলের কথায় ওঠবস করছে। চোর ধরা পুলিশের কাজ। তার জন্য পুলিশকে বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু তা না করে উল্টে পুলিশ চোরদের পাহারা দিচ্ছে। চোরদের কথায় পুলিশ বিরোধীদের মিথ্যে কেসে ফাঁসাচ্ছে, গাঁজার কেস দিচ্ছে।’ পুলিশকে সংবিধান ও নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের পোশাকে টিএমসির ছাপ লাগানো আছে বলেও এদিন কটাক্ষ করেন সেলিম। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকসিকে জঞ্জালের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি।
কেন্দ্র-রাজ্যকে তোপ দেগে সেলিম বলেন, ‘মমতা ও মোদির তলে তলে সেটিং রয়েছে। দুজনেই একসঙ্গে এনপিআর চালু করতে চাইছেন। মমতা দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সমস্ত তথ্য নিয়ে নিচ্ছেন। আসলে কয়লা পাচার কাণ্ডে তাঁর ভাইপো ফেঁসে গিয়েছে। তাই ভাইপো আর নিজের পরিবারকে বাঁচানোর জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে জুয়া খেলছেন মমতা।’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক আরও বলেন, ‘তৃণমূল চোরদের দল। ১০০ দিনের প্রকল্প থেকে শুরু করে চাকরি সব চুরি করে বিক্রি করেছে।’
অন্যদিকে, সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে যাদের বিড়ি খাওয়ার পয়সা ছিল না এখন তাদের তিনতলা বাড়ি। বাড়িতে এসি লাগানো। আর রাস্তায় ঘোরে চার চাকা গাড়ি নিয়ে। দলের নেতা-মন্ত্রীরা দুর্নীতি যুক্ত। অনেক নেতা-মন্ত্রীরই জেলে ঠাঁই হয়েছে।’ এদিনের সভায় সেলিম, শতরূপ ছাড়াও দলের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র, সিপিআই নেতা বিশ্বনাথ ঘোষ, সুশান্ত সিংহ, ভুবন কুমার, খেতমজুর ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক জামিল ফিরদৌস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ সমবায় সমিতিতে রাসায়নিক সার না পেয়ে ধর্নায় কৃষক সংগঠন