উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গোরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) এবার ইডির নজরে রাজ্যের একাধিক পুলিশ কর্তা। মামলার তদন্তে দিল্লিতে তলব করা হতে পারে প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ূন কবীর-সহ বীরভূমের ডিআইজি পদমর্যাদার দুই অফিসারকে। এমনই খবর মিলেছে ইডি সূত্রে। কেষ্ট ঘনিষ্ঠদের পাশাপাশি পুলিশ কর্তাদের দিল্লিতে তলব করা নিয়ে আলোড়ণ ছড়িয়েছে। তাঁদের ৩ থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে হাজিরার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, গোরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি। এই মামলায় আইনি জটিলতার মধ্যেই ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সঞ্জীব মজুমদারকে। এর আগে সিবিআই আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সঞ্জীব মজুমদারকে। ইডি সূত্রে খবর জেলবন্দি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে মোটা অংকের টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন এই সঞ্জীব। কেষ্টর অ্যাকাউন্টে কত টাকা এবং কী কারণে লেনদেন, সেটা জানতেই তাকে দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই অনুব্রতর নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মেলে। সেই সম্পত্তির উত্স এবং কালো টাকার রংবদল কীভাবে তা জানতে গত ১৭ নভেম্বর অনুব্রতকে টানা ৫ ঘণ্টা জেরা করে ইডি। উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় সেদিনই আসানসোল জেলে কেষ্টকে অ্যারেস্ট করে ইডি। এরপরই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করার আবেদন জানান ইডির আধিকারিকরা। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে ইডি র্যাডারে রাজ্যের একাধিক পুলিশ অফিসাররাও।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীসভার সদস্যদের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব শুভেন্দু, হট্টগোল বিধানসভায়