সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি: রাজনৈতিক বিতর্কের ছোঁয়া এড়াতে পারল না শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্রদের পুনর্মিলন অনুষ্ঠান। তাতে আমন্ত্রণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা শিলিগুড়ি বয়েজের প্রাক্তন ছাত্র শংকর ঘোষ(Shankar Ghosh)। পুনর্মিলন অনুষ্ঠানেও রাজনীতি করে বেছে বেছে তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের ডাকার অভিযোগ তুলে তিনি আমন্ত্রিতদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন। বিধায়কের দাবি, শিলিগুড়ির মেয়র, ডেপুটি মেয়র, ৯ জন মেয়র পারিষদ, ৫ জন বরো চেয়ারম্যান, এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি, শিলিগুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ রায় সহ অনেকের নাম সেই তালিকায় রয়েছে। অথচ শহরের বিধায়ক এবং প্রাক্তনী হিসাবে কেন পুনর্মিলন কমিটি তাঁকে ডাকল না সেই প্রশ্ন তুলেছেন শংকর।
শংকরের বক্তব্য, ‘শহরের বিধায়ককে আমন্ত্রণ না করাটা লজ্জার ব্যাপার। বেছে বেছে সমস্ত তৃণমূলের(TMC) জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের ডাকা হয়েছে। স্কুলের অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজনীতি করা সত্যি ন্যক্কারজনক ঘটনা।’
শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের(Siliguri Boy’s High School) ছাত্রদের পুনর্মিলন অনুষ্ঠানটি জাঁকজমকপূর্ণভাবে করা হচ্ছে। যেখানে প্রচুর প্রাক্তনী অংশগ্রহণ করেছেন। তাতে আমন্ত্রণ না পাওয়ার ব্যাপারে বিধায়ক সরব হতেই বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেন বিধায়ককে আমন্ত্রণ করা হয়নি সেই প্রশ্ন করা হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
দীর্ঘদিন থেকে এই পুনর্মিলন উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিদেশে কিংবা ভিনরাজ্যে থাকা স্কুলের প্রাক্তনীরাও পুনর্মিলন উৎসবে যোগ দিয়েছেন। অনেকে নিজেদের মতো করে অনুষ্ঠানের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। পুনর্মিলন উৎসব কমিটির সম্পাদক তথা সহকারী প্রধান শিক্ষক রণজয় দাসের কথায়, ‘প্রাক্তনীদের কাউকে আলাদাভাবে ডাকা হয়নি। পুনর্মিলন উৎসব কমিটিতে প্রাক্তনীরা নিজে থেকেই রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তাছাড়া, শনিবার বিদ্যালয়ের নতুন বাথরুম, মিড-ডে মিলের শেড, সংস্কারের পর তৈরি ক্লাসঘরের উদ্বোধন করা হয়। উন্নয়নমূলক কাজে আর্থিক সহায়তা করার জন্য পুরনিগম, মহকুমা পরিষদ, এসজেডিএ’র সঙ্গে যুক্ত প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছে।’