আসানসোল: আসানসোলের(Asansol) সমস্যা সমাধানে উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। বৃহস্পতিবার আসানসোলের সেনরেল রোডের কন্যাপুরে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের গেস্ট হাউসের কনফারেন্স রুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কাজের খতিয়ান তুলে ধরলেন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।
আসানসোল শহরের দীর্ঘদিনের সমস্যা হল কোর্ট চত্বরের কাছে লেভেল ক্রসিং। এই লেভেল ক্রসিং থাকায় দিনভর ট্রেন চলাচলের কারণে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এখানেই আছে সরকারি ও বেসরকারি ৭টি স্কুল। রয়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল এবং আসানসোল জেলা আদালত। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ৯ মাস আগে বিপুল ভোটে জিতে আসা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা লেভেল ক্রসিংয়ে রেল ওভারব্রিজ বা আরওবি করার জন্য রেলের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। তার সেই আবেদনের ভিত্তিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেল সমীক্ষা করে ও নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সরকারি নিয়মে এই ধরনের কোনও রেল ওভার ব্রিজ করতে গেলে রাজ্য সরকারের যেমন অনুমতি লাগে তেমনই খরচের পঞ্চাশ শতাংশ রাজ্য সরকারকে দিতে হয়। রাজ্য সরকার তাতে সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে সাংসদ দাবি করেন। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে রেলের পক্ষ থেকে দেওয়া এই বিষয় একটি চিঠিও পড়ে শোনান সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। একইসঙ্গে আসানসোল থেকে দিল্লি পর্যন্ত রাজধানীর মতো একটি বিশেষ ট্রেন চালু করা সহ একাধিক ট্রেনের দাবি এবং আমেদাবাদ, মুম্বই ও পুনেতে বাইউইকলি ট্রেনগুলি চলে, সেগুলি নিয়মিত চালানোর তিনি দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বলেন, ‘আসানসোল, পাণ্ডবেশ্বর ও জামুরিয়া এলাকায় বেশ কয়েকটি জায়গায় নতুন ভবন, রাস্তা নির্মাণ ও সৌর প্ল্যান্ট বসানোর জন্য সাংসদ কোটা থেকে টাকা দেওয়া হয়েছে।’
পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করতে শোনা যায় শত্রুঘ্ন সিনহাকে। তিনি বলেন, ‘আমি ক্যানসার সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এমন ২৮ জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ড থেকে অর্থ সাহায্য চেয়েছিলাম। ইতিমধ্যেই ৭ জনের জন্য অর্থ প্রধানমন্ত্রী পাঠিয়েছেন। হয়তো প্রধানমন্ত্রী মনে রেখেছেন যে আমি দীর্ঘদিন কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলাম। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।’ আসানসোলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উন্নতির জন্য তিনি ইতিমধ্যেই আসানসোলে একটি মেডিকেল কলেজ করার কথা যেমন ভেবেছেন, তেমনি বাইরের থেকে বেসরকারি বড় সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল এখানে আনা যায় কিনা তারও চেষ্টা করছেন বলে জানান। একইসঙ্গে চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার বর্তমান অবস্থা, ইসিএলের বেসরকারিকরণ, ইসিএলের বিভিন্ন কয়লাখনিতে কাজ করা নিরাপত্তারক্ষীদের কাজ হারানোর বিষয় নিয়ে তিনি নিজে উদ্যোগ নেবেন বলে জানান। এদিন তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।