জামালদহ: ‘বাবুরাম সাপুড়ে, কোথা যাস্ বাপুরে? আয় বাবা দেখে যা, দুটো সাপ রেখে যা!…’ হাতেখড়ি হওয়ার পর সুকুমার রায়ের এই ছড়া কেউ পড়েননি, এমন মানুষ প্রায় দুষ্কর। তবে এবার আর দুটো সাপ নয় ছটি সাপ রেখেই পালাল দুই সাপুড়ে। সাপগুলিও যথেষ্ট বিষধর। ঝুলিতে ছিল গোখরো, চন্দ্রবোড়াও, যাদের এক ছোবলে ছবি হতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মেখলিগঞ্জ(Mekhliganj) ব্লকের জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০২ খাসবস দ্বারিকামারি পাখিহাগা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা নাগাদ সাপ খেলা দেখাতে দুই সাপুড়ে স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়িতে আসে। সেখানে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার নামে ওই ব্যক্তিকে তাবিজ, কবজ নেওয়ার কথা বলে সাপুড়েরা। বিনিময়ে টাকাও দাবিও করে। এতে সেখানে উপস্থিত পঙ্কজকুমার রায়, শচীন রায়দের সন্দেহ হয়। এরপর তাঁরা খবর দেন জামালদহর সর্পপ্রেমী সন্দীপ রায় কার্জি ও শুভজিৎ বর্মনকে। ফোন পেয়ে তড়িঘড়ি তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সর্পপ্রেমীরা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন গোখরো, চন্দ্রবোড়া সহ ছয়টি বিষধর সাপ।
সেখানে সন্দীপ ও শুভজিতবাবু সাপুড়েদের জানান, সাপের খেলা দেখানো বেআইনি। তাঁরা সাপুড়েদের প্রশ্ন করতে শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে সাপ রেখেই পালিয়ে যায় সাপুড়েরা। পরে সাপগুলি উদ্ধার করে বন বিভাগের সহায়তায় জামালদহ বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিট অফিসার সঞ্জীবকুমার বর্মন জানান, গ্রামবাসীদের প্রচেষ্টা ও তাঁদের সচেতনতার কারণেই এদিন কিছু সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু সাপ বিলুপ্তপ্রায়। এজন্য সর্পপ্রেমী সন্দীপ ও শুভজিৎকে ধন্যবাদ জানান তিনি।