প্রসেনজিৎ সাহা, দিনহাটা: আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। আর যে কোনও উৎসব উপলক্ষ্যেই বাঙালির ভুরিভোজ একটি অন্যতম বিষয়। কিন্তু এই মুহূর্তে গোটা দেশ করোনা ভাইরাসের ত্রাসে আতঙ্কিত। দেশজুড়ে চলছে লকডাউন।
করোনাকে পরাজিত করতে হলে লকডাউনই একমাত্র উপায়। তার সঙ্গে দরকার সামাজিক দূরত্ব। তবে আজ পহেলা বৈশাখের দিনে দিনহাটায় মাছ মাংসের বাজারে শিকেয় উঠল সামাজিক দূরত্ব। ফলে পুর প্রশাসনের যে উদ্দেশ্য তা যেন কোথায় বাধা পাচ্ছে।
দিনহাটার মূল দুটি বাজার প্রত্যুষা বাজার ও চওড়াহাট বাজার কয়েকদিন আগে শহরের একটি স্কুল ও খেলার মাঠে সরিয়ে আনা হয়েছিল। যাতে মানুষ নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে। কিন্তু আজ দুই বাজারের মাংসের দোকানে ক্রেতা সঙ্গে ক্রেতার যেমন দূরত্ব ছিল না তেমনি ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যেও কোনওরকম দূরত্ব দেখা যায়নি। উপরন্তু মাস্কেরও দেখা মেলেনি অনেকের মুখে। এরফলে প্রশাসন যখন বারবার মানুষকে সচেতন থাকতে বলছেন তখন আরেক শ্রেণির অসচেতন মানুষ তা ভেঙে বিপদকে বাড়িয়ে তুলছে।
আরও খবর: ৩ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন : প্রধানমন্ত্রী
এইবিষয়ে শহরের বাসিন্দা শঙ্করদেব বলেন, ‘এটা মহকুমার জন্য খুবই বিপদের কথা। কেননা সচেতন না হলে আমাদের বিপদে পড়তে হতে পারে।’
অন্যদিকে, ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী জানান, ব্যবসায়ীদের বারবার এইবিষয়ে সাবধান করা হয়েছে যাতে তারা ক্রেতাদের থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন। এক্ষেত্রে যারা নিয়ম মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যদি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করে, আমরা সাংগঠনিকভাবে তাদের সঙ্গে রয়েছি।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই সবজি বাজারের মতো পুর এলাকার মাছ-মাংসের বাজারগুলিও স্থানীয় স্কুল ও খেলার মাঠে সরিয়ে দেয় পুরপ্রশাসন। উদ্দেশ্য একটাই খোলামেলা মাঠে যাতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে। কিন্তু পুর এলাকার সকালের বাজারগুলিতে সেই সামাজিক দূরত্বের চিত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে মাংসের দোকানগুলিতে এই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।