পতিরাম, ১৪ এপ্রিলঃ লকডাউন থাকলেও, মানুষের মধ্যে তা নিয়ে কোনো হেলদোল নেই। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম হাইস্কুল রোড, তালতলা মোড় ও রানী বাজার জংশন এলাকায় সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের ভিড় যেন তাই প্রমাণ করেছে। এমনকি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথাও মানুষ ভুলে গিয়েছিলেন। পুলিশ, প্রশাসনের করোনা সতর্কতা এখানে একেবারেই বৃথা গিয়েছে। ফলে, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা স্থানীয় সচেতন মানুষদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। তাঁরা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন।
পতিরাম তালতলা মোড় সংলগ্ন রানী বাজার জেলার মধ্যে অন্যতম বড় পাইকারি সবজির হওয়ায় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে আসেন। শুধু তাই নয়, উত্তর দিনাজপুর ও মালদা জেলা থেকেও ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন। নিজেদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকেরা ওই বাজারে ভিড় করেন। লকডাউন শুরু হওয়ার পর, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, পাইকারি সবজি বাজারের বেশিরভাগ অংশ তালতলা মোড় থেকে সরিয়ে প্রায় ১০০ মিটার দূরে পতিরাম হাইস্কুল সংলগ্ন একটি মাঠে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
কিন্তু, সেখানে জায়গা থাকলেও, কৃষক এবং পাইকারি ক্রেতারা মাঠের একটা অংশে ও পাকা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে মালপত্র কেনাবেচা করছেন।কখনও ফুটপাথেও চলে আসছেন। ব্যাপক যানজট ও বাজারের ভিড়ে লকডাউন পরিস্থিতিকে যেন কোনোভাবেই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। পাশাপাশি, পতিরাম চৌরঙ্গী মোড় এবং তহবাজারেও একই পরিস্থিতি।
পতিরাম ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সাগর কুমার সরকার জানিয়েছেন , প্রশাসনের সহায়তায় করোনা নিয়ে সচেতন করা হলেও, ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই তাতে আমল দিচ্ছেন না। এমতাবস্থায় তিনি প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। পতিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশুতোষ দাস সকলকে মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মাছ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিশ্বনাথ সাহা প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
পতিরাম পুলিশ ফাঁড়ির ওসি দেবব্রত মিশ্র জানিয়েছেন, তাঁরা নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এবারে, নিজেদের ভালো সাধারণ মানুষকেই বুঝতে হবে। তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন পদক্ষেপ নিয়ে তাঁরা ভেবে দেখছেন।