কিশনগঞ্জঃ এবার আর হাতিতে নয়, প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেল বিঘার পর বিঘা জমির ভুট্টা। ঘটনাটি ঘটেছে কিশনগঞ্জের নেপাল সীমান্তের ঠাকুরগঞ্জ এলাকায়। ঝড়-বৃষ্টিতে জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের।
শীত পড়লেই নেপাল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বিহারের কিশনগঞ্জ লাগোয়া এলাকাগুলোতে হানা দেয় নেপালের হাতির পাল। খেয়ে নষ্ট করে ধান ভুট্টা। ক্ষতি হয় বিঘার পর বিঘা জমির ফসল। হাতি তাড়াতে নাস্তানাবুদ হতে হয় বিহারের বনকর্মীদের। তবে গত রাতে ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ইন্দো-নেপাল সীমান্তবর্তী ঠাকুরগঞ্জ এলাকায় ভুট্টার খেত। এদিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল তছনছ হয়ে আছে সমস্ত ভুট্টার খেত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে শতাধিক একর ভুট্টার খেত। ভুট্টার গাছ পড়ে রয়েছে মাটিতে। এরফলে চরম বিপাকে পড়েছে ভুট্টাচাষিরা।
ভোগদাবর গ্রামের কৃষক তৌহিদ আলম, নূর হোসেন, কুলসুম বেওয়ারা জানিয়েছেন, কীভাবে তাঁরা মহাজনের ঋন পরিশোধ করবেন আবার কীভাবেই বা তাঁরা মেয়েদের বিয়ে দেবন। এই চিন্তায় রাতের ঘুম শেষ। অনেকেই কাঁদতে কাঁদতে একই কথা বলেন। কেননা বেশীর ভাগ কৃষক একেবারেই সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে বলে জানান। যদিও বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এই মর্মে জেলা প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। মহকুমা শাসক লতিফুর রহমান জানান সরেজমিনে তদন্তের শেষে সরকারি আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা হবে। অপরদিকে এই প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টিতে যদিও আমবাগানে অনেক মুকুল ঝরে গেছে। তবুও আম চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।