ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যজুড়ে যেভাবে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে ক্রমশ আতঙ্ক বাড়ছে। ডেঙ্গি(Dengue) আক্রান্তের পাশাপাশি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুহারও। তবে কলকাতার দিকে নজর সবার। কারণ এই মুহূর্তে কলকাতা প্রায় ডেঙ্গির আঁতুড়ঘড় হয়ে উঠতে চলেছে বলা যায়। ডেঙ্গি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর। বুধবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশন বসে। আর সেখানেই ডেঙ্গি নিয়ে মুলতবি প্রস্তাব আনেন কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক।
কংগ্রেস কাউন্সিলরের প্রস্তাবে সহমত জানায় বিজেপি এবং বামেরা। কার্যত তিন বিরোধী দল একযোগে ডেঙ্গি নিয়ে বিরোধিতা করে। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ আজ তীব্র কটাক্ষ সহযোগে জানিয়েছেন, “ডেঙ্গুতে রাজ্যে ৫২ হাজার মানুষ আক্রান্ত। কলকাতায় রোজ মৃত্যু হচ্ছে আর ডেপুটি মেয়র বলছে পরিসংখ্যান সেই অনুযায়ী কম। তিনি যেভাবে তথ্য দিচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে, ডেপুটি মেয়র বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সিইও। আমরা চাই পুরসভা সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুক।” এরপরই বাম, বিজেপি এবং কংগ্রেস কাউন্সিলররা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন, অধিবেশন বয়কট করেন। কার্যত বিরোধী দলের এই অধিবেশন বয়কট নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, স্পষ্ট হয়ে গেল বাম এবং রাম একসঙ্গে রয়েছে।
বিক্ষোভ অবস্থান চলাকালীন তিনি অধিবেশন শেষ করে নিজের দপ্তরে চলে যান বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, করোনার পর রাজ্য জুড়ে দাপট দেখাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি। সরকারের তরফ থেকে ডেঙ্গি মোকাবিলার সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সমস্ত হাসপাতালে যেন ২৪ ঘন্টা ফিবার ক্লিনিক চলে। পাশাপাশি বেলেঘাটা আইডি, হাওড়া জেলা হাসপাতাল, শ্রীরামপুর জেলা হাসপাতাল, শিলিগুড়ি পুর হাসপাতাল সহ বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘন্টার ডেঙ্গি টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও রাজ্যের আশা কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে।
কিন্তু এত কিছু করেও কিছুতেই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে আবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা তথ্য গোপন করছেন। কার্যত এই পরিস্থিতিতে আজ কলকাতা পুরসভা উত্তাল হয়ে উঠল বিরোধীদের বিক্ষোভে, যা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।