হরিশ্চন্দ্রপুর: পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলে ভাঙচুর চালানোয় ছাত্রদের আর্থিক জরিমানা করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর এই জরিমানা নিয়েই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) -২ নম্বর ব্লক এলাকা ভালুকা অঞ্চলের রাইমোহন মোহিনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন আগে পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলেরই বেশ কয়েকজন ছাত্র ক্লাসরুমের ফ্যান এবং টেবিল চেয়ার বেঞ্চ ভেঙে দেয়। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে জানতে পারে এর পিছনে নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাত্র রয়েছে। তারপর স্কুল কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় দোষী ছাত্রদের কাছ থেকে ২০০০ টাকা করে জরিমানা নেওয়া হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই তালিকা প্রকাশ করে ছাত্রদের কাছ থেকে ২০০০ টাকা দাবি করে। তালিকায় মোট ১০ জন ছাত্রের নাম রয়েছে। টাকা দিতে না পারলে আগামীতে একাদশ শ্রেণির ফর্ম ফিলাপ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারপরই বিতর্ক শুরু হয়।
এনিয়ে অভিভাবকদের দাবি, এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের কোনও কিছু না জানিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইভাবে একাদশ শ্রেণিতে ফর্ম পূরণ করতে দেওয়া হবে না এই শর্ত দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে এবং কোনও রশিদ দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন অভিভাবক স্কুলের চাপে টাকা পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল হক জানান, ভবিষ্যতে যাতে ছাত্ররা এ ধরনের কাজ করতে সাহস না পায় তাই জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মালদা জেলা সেকেন্ডারি স্কুলের ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর সুজিত সামন্ত জানান, এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি।
আরও পড়ুন : হাতির হানায় মৃত্যু ব্যক্তির