শিলিগুড়ি: তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের রহস্যমৃত্যু। সোমবার শিলিগুড়ির ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সারদাপল্লির তিলক সাধু মোড় এলাকার ঘটনা। এদিন দুপুরে বাড়ি থেকেই ৯ বছরের ওই নাবালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সুকনা সংলগ্ন একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করত সে। তার বাবা ও মা দুজনেই সেচ দপ্তরে কর্মরত। আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার জেরে দানা বাঁধছে রহস্য। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১৪-র কন্যাকে স্কুলে পাঠিয়ে এদিন সকালে নাবালকের বাবা-মা দুজনেই অফিসে চলে গিয়েছিলেন। সেসময় ওই নাবালক বাড়িতে তার ঠাকুরদা ও ঠাকুমার কাছে ছিল। তার স্কুলে পরীক্ষা ছিল মঙ্গলবার। সেই কারণে এদিন স্কুল বন্ধ থাকায় নাবালক সকাল থেকে দোতলার ঘরে ছিল। নীচ তলায় ছিলেন তার ঠাকুরদা ও ঠাকুমা। দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টা নাগাদ নাবালককে খেতে ডাকেন ঠাকুমা। কিন্তু নাতির কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি দোতলার ঘরে যান। দরজা সেসময় খোলাই ছিল। ভেতরে ঢুকে তিনি নাতির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিছানার পাশে পড়ে ছিল একটি চেয়ার। বৃদ্ধা চিৎকার করতেই তাঁর স্বামী উপরে উঠে আসেন। দুজনে মিলে কোনও রকম নাবালককে দড়ি খুলে নীচে নামান। প্রতিবেশীরাও সেখানে আসেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং পরে হাকিমপাড়া ও মাটিগাড়ার দুটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। কিন্তু সমস্ত জায়গাতে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছেলের মৃত্যুর কথা শুনে বাবা-মা দুজনে ছুটে আসেন। আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে ছাত্রটি আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হলেও, সে কীভাবে গলায় ফাঁস লাগাতে জানল, সেই প্রশ্ন উঠছে। রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।