চাঁচল: উত্তরপত্র জমা না দিয়ে টিএমসিপির (TMCP) মিছিলে শামিল হলেন পরীক্ষার্থীরা! পরে উত্তরপত্র জমা না নেওয়ায় কলেজের টিআইসিকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল টিএমসিপি। সোমবার চাঁচল কলেজের এই ঘটনায় শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তর্জা। পরীক্ষার্থীরা কেন উত্তরপত্র জমা না দিয়ে মিছিলে শামিল হলেন? কেনই বা তাঁদের মিছিলে শামিল করা হল? সেসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অবশ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাফাই, পরীক্ষার্থীরা আবেগের বশে মিছিলে গিয়েছিলেন। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, এভাবে ছাত্রছাত্রীদের অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে তৃণমূল। অন্যদিকে, চাপের মুখে পড়ে অবশেষে উত্তরপত্র জমা নিয়েছেন টিআইসি।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মিছিল করে একুশে জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের প্রচার চালাচ্ছিলেন টিএমসিপির নেতাকর্মীরা। আর সেই মিছিলে অংশ নেন চতুর্থ ও ষষ্ঠ সিমেস্টারের কিছু পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, তাঁরা পরীক্ষা চলাকালীনই টিএমসিপির মিছিলে অংশ নেন। যার ফলে সঠিক সময়ে তাঁরা অনলাইন পরীক্ষার উত্তরপত্র জমা দিতে পারেননি। এনিয়ে পরীক্ষার্থীরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দ্বারস্থ হন। এরপর সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। ঘণ্টাখানেক চলে বিক্ষোভ। এর জেরে উত্তেজনা ছড়ায় কলেজ ক্যাম্পাসে। চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। উত্তরপত্র জমা না দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মিছিলে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক বাবু সরকার বলেন, ‘চাঁচল কলেজের সমস্ত ছাত্রছাত্রী টিএমসিপি করেন। তাই তাঁরা আবেগে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন।’ যদিও বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। চাঁচলের বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ শর্মা বলেন, ‘যতটা শুনেছি এদিন জোর করেই পড়ুয়াদের মিছিলে টেনে নিয়ে যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কী অবস্থা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের! ছাত্রছাত্রীদের অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে তৃণমূল।’ অন্যদিকে, টিআইসি অজিত বিশ্বাস বলেন, ‘পরীক্ষার্থীরা সঠিক সময় খাতা জমা দিতে পারেননি। পরে অবশ্য উত্তরপত্র জমা নেওয়া হয়। সমস্যা মিটে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন : বিজেপির বৈঠকে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল