মেখলিগঞ্জ: মেখলিগঞ্জ (Mekhliganj) ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে প্রায় ৪১ মাস চাকরি করেছেন রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। অভিযোগ উঠেছিল মেধা তালিকায় নাম না থাকলেও তার বাবা পরেশ চন্দ্র অধিকারী ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় রাতারাতি মেধা তালিকায় নাম উঠে যায় অঙ্কিতার। শুধু তাই নয় পার্সোনালিটি টেস্ট না দিয়েই বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বের মেখলিগঞ্জ (Mekhliganj) শহরের ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষিকা হন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে অঙ্কিতার। এবার অঙ্কিতার শূন্যপদে ববিতাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি অঙ্কিতার বেতনের টাকাও ববিতাকে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
এই সিদ্ধান্তে খুশি ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বসুনিয়া জানান, তিনি এখনও কোনও নির্দেশিকা হাতে পাননি। তাই কিছু বলতে পারবেন না। যদি সত্যিই ববিতা সরকার স্কুলে যোগ দেয় তবে স্কুলের ভালো হবে মনে করেন রঞ্জনাদেবী। ববিতা ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে চাকরি পেলে ভালোই হবে বলে জানিয়েছে রুমি দাস, রেজিনা খাতুন, মিমি খাতুন ও পূজা রায়ের মতো পড়ুয়ারা।
দীপক বর্মন, সবিতা দাসের মত অভিভাবক অভিভাবিকারাও আদালতের নির্দেশে যথেষ্টই খুশি। দীপক বর্মন জানান, মেধার জয় হওয়ায় তাঁরা খুশি। আরেক ছাত্রীর মা সবিতা দাস জানান, ববিতা সরকারের লড়াইকে সম্মান জানাই। শুধু স্কুল কর্তৃপক্ষ বা পড়ুয়া অভিভাবকরাই নয়, ববিতাকে স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপিও। তৃণমূলের মেখলিগঞ্জ ব্লক সভাপতি উদয় রায় জানান, কোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছেন তা মেনে নিতে হবে। ববিতা মেখলিগঞ্জে চাকরি পেলে তাকে স্বাগত। বিজেপির মেখলিগঞ্জ শহর মণ্ডল সভাপতি আশেকার রহমান জানান, ববিতা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। তার লড়াইয়ের জন্যই মেখলিগঞ্জ তথা রাজ্যের মানুষ জানতে পারল মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: Cyber Crime | মোবাইল অ্যাপে লোনের আবেদন করে ব্ল্যাকমেইল ও হুমকির শিকার যুবক