সামসী: বিজেপি সরকারের জন বিরোধী নীতি, জ্বালানি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও কংগ্রেস-সিপিএম দ্বারা রাজ্য সরকারের সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদে প্রকাশ্য সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বুধবার মালতীপুর (Maltipur) বিধানসভা এলাকা তথা রতুয়া ২ ব্লকের শ্রীপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাগুরা শক্তি সংঘ অ্যান্ড রুরাল লাইব্রেরী মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সমাবেশ।
এদিনের সভায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশাপাশি সিপিএম ও কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। কংগ্রেস-সিপিএমকে এক হাত নেন তিনি। মরিচঝাঁপি থেকে শুরু করে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম সহ একাধিক জায়গায় হার্মাদ বাহিনীর অত্যাচারের কাহিনী তুলে ধরে সিপিএম ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে এমন একটা সরকার চলছে যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রুখতে ব্যর্থ। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষের এই দুর্দশা নিবারনে বিজেপি সরকারের কোন হেলদোল নেই।‘ মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় জানান, বুথ স্তর থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত প্রতিটি শাখা সংগঠনকে কমিটি তৈরি করে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে মানুষের দুয়ারে পৌঁছোতে হবে।
মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে উন্নয়ন চলছে এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সমস্ত সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন। এর ফলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদার মানুষ তৃণমূলের পাশেই থাকবে।‘ মালতীপুরের বিধায়ক ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসি বলেন, ‘মহম্মদ সেলিম নামে একজন বোকা লোকের কাঁধে ভর করে পার হতে চায় সিপিএম। সিপিএমের বর্তমানে লোক নেই। উন্নয়নের কাছে সবাই নতি স্বীকার করে নিজের নিজের ঘরে ঢুকে গেছেন। বাংলার সংখ্যালঘুরা সিপিএমের এই কৌশলে আদৌ বিচলিত নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পাশেই রয়েছেন বাংলার মানুষ।‘
প্রসঙ্গত, ১৮ সেপ্টেম্বর শ্রীপুর জিএসএ হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচনে বিরোধী জোট জয় পায়। এই ভোটে কারচুপির অভিযোগ তোলে শাসকদল। পুলিশ ও তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলারও অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে শাসক ও বিরোধী দলের তর্জা চরমে ওঠে। গত দুই মাসে শাসকদল তিনটি, কংগ্রেস একটি ও সিপিএম দুটি সভা করে। পঞ্চায়েতের আগে সব দলই রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি করে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেকরা।’
আরও পড়ুন : সহায়ক মূল্যে কৃষকদের থেকে ধান কেনার প্রস্তুতি শুরু বংশীহারিতে