উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ এশিয়াডে পদক হাতছাড়া হতেই পদকজয়ী সতীর্থের বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ করেছিলেন স্বপ্না বর্মণ। স্বপ্নার অভিযোগ তাঁর সতীর্থ নন্দিনী আগাসারা রূপান্তরকামী। এশিয়াডে নিয়মভঙ্গ করেছে সে। তাই তাঁর পদকে কেড়ে নেওয়া হোক। স্বপ্নার এই এই অভিযোগে অস্বস্থিতে পড়ে যায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। পরে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যটি মুছে ফেলেন স্বপ্না।
নিজের এক্স-হ্যান্ডেলে কী লিখেছিলেন স্বপ্না বর্মণ? এদিন সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ পদক হাতছাড়া হওয়ায় সমাজমাধ্যমে স্বপ্না লিখেছেন, ‘‘আমি এক জন রূপান্তরকামী মহিলার কাছে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক হেরেছি। অ্যাথলেটিক্সের নিয়ম ভাঙা হয়েছে। তাই আমি আমার পদক চাই। দয়া করে আমাকে সবাই সমর্থন করুন।’’সতীর্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন স্বপ্না বর্মণ। তাঁর মন্তব্য ঘিরে তুমুল ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই সোমবার বেলা গড়াতেই সেই টুইট মুছে দিয়েছেন তিনি। যদিও এই মন্তব্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও পর্যন্ত কোনও দুঃখ প্রকাশ করেন নি স্বপ্না।
উল্লেখ্য, এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথলনে ব্রোঞ্জ জিতেছেন ভারতেরই নন্দিনী আগাসারা। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছিলেন স্বপ্না। হেপ্টাথলনে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে সোনা জিতলেও চিনের হ্যাংঝৌতে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বাংলার অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মণকে। মাত্র ৪ পয়েন্টের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছে স্বপ্না বর্মণের। হেপ্টাথলনের ফাইনালে একটা সময় পর্যন্ত নন্দিনীর আগে ছিলেন স্বপ্না। ষষ্ঠ রাউন্ডের পরে চতুর্থ স্থানে ছিলেন তিনি। নন্দিনী অনেকটা পিছিয়ে থেকেও শেষ ইভেন্টে স্বপ্নাকে টপকে যান নন্দিনী। শেষ পর্যন্ত ৫৭১২ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন নন্দিনী। ৫৭০৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে শেষ করেন স্বপ্না। পদক হাতছাড়া হতেই মাঠেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্বপ্না। ব্রোঞ্জজয়ী সতীর্থের বিরুদ্ধেই গুরুতর নিয়মভঙ্গের অভিযোগ করেন তিনি।