বালুরঘাটঃ স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) প্রকল্পে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের (Balurghat District Hospital) বকেয়া প্রায় ২ কোটি৷ গত তিন বছরে বকেয়ার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে টাকা প্রদান না করায় বকেয়ার পরিমান দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর ফলে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধার দেনার পরিমাণ বাড়ছে। যদিও জেলা হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে যেমন যেমন ভাবে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন সেভাবে তারা বাকি পরিশোধ করছেন।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে সকলের জন্য বিনা পয়সায় চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে৷ যদিও এখন হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চাওয়া হয় রোগীর পরিবারের কাছ থেকে। সরকারি হাসপাতালে বাইরে থেকে কোনও ওষুধ বা অন্য কোনও চিকিৎসার সরঞ্জামের প্রয়োজন হলে সেগুলো স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে বিনা পয়সায় পেয়ে যায় রোগীর পরিবার। আর এই খাতেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে গত তিন বছরে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বকেয়া টাকার পরিমান দাঁড়িয়েছে ২ কোটিতে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ইস্যু করার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালকে মেটানো হচ্ছে না এই বকেয়া টাকা। আর এর ফলেই বিপাকে পড়েছেন ওষুধ বিক্রেতারা।
এনিয়ে বালুরঘাট ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানের মালিক অনির্বাণ ঘোষ বলেন, প্রত্যেক মাসে আমরা হাসপাতালকে ওষুধের বিল প্রদান করে থাকি। গত ২ বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের ওষুধের দোকানে বকেয়া বিলের পরিমান প্রায় ৪৩ লক্ষ টাকা। প্রতি মাসে বিল জমা করার পরও তা বকেয়া থাকছে। আমাদের টাকা সময়মত পেলে সুবিধা হত।
অন্যদিকে এই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ। তিনি বলেন, বেশ কিছু দিনের স্বাস্থ্যসাথীর বিল বকেয়া রয়েছে। মাঝে মধ্যে বিল মেটানো হচ্ছে৷ বালুরঘাট ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানেও অনেক টাকাই বিল বাকি রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বকেয়ার টাকা পেলেই এসব বিল প্রদান করা হবে।