মাথাভাঙ্গা: কৃষক বাজারে পকেটমারি করতে গিয়ে শেষরক্ষা হল না। হাতেনাতে ধরা পড়ল মনসুর আলি নামে এক পকেটমার। যদিও ততক্ষণে পকেটমারির টাকা হাতবদল হয়ে চলে যায় তার সঙ্গীর কাছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই পকেটমার টাকা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পুলিশ তার নাম ঠিকানা জেনে গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয়েছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা শহর সংলগ্ন পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চানন মোড় লাগোয়া মাথাভাঙ্গা ১ ব্লক কৃষক বাজারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ও পলাতক দুজনেরই বাড়ি পুণ্ডিবাড়ি থানার অন্তর্গত পূর্ব ধর্মবাড়ির কুঠি গ্রামে। এক পকেটমারকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করতে মাথাভাঙ্গা পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। এদিন কৃষক বাজারের পাইকারি সবজি বাজার থেকে ব্যবসার জন্য সবজি কিনতে গিয়ে পকেটমারের কবলে পড়েন মাথাভাঙ্গা শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড নজরুলপল্লির বাসিন্দা সামসুল হক। তাঁর পকেটে সবজি কেনার জন্য ১৫ হাজার টাকা ছিল। অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতী পরিকল্পনামাফিক তার পকেট থেকে যখন টাকা বের করে নিচ্ছেন তিনি তা বুঝতে পেরে তাকে ধরে ফেলে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকারে কৃষক বাজারের ক্রেতা বিক্রেতারা ওই পকেটমারকে ধরে মারধর শুরু করে। কৃষক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা তাকে কৃষকবাজারের একটি ঘরে আটকে রেখে মাথাভাঙ্গা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মধ্যে থেকে পকেটমারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পলাতক পকেটমারের নাম জানা যায়। তার নাম আমজাদ। পকেটমার চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয়েছে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। মাথাভাঙ্গার এসডিপিও সুরজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘ধৃত পকেটমারের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করার পাশাপাশি চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।‘