চ্যাংরাবান্ধা: মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধায় মৈনাক চা বাগানের জমি দখলের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ব্যাপক গণ্ডগোল বেধেছিল। এনিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার ফের বৈঠক করে ব্লক প্রশাসন। বাগান কর্তৃপক্ষ এবং যার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ আনা হয়েছিল সেই কামিনীকান্ত রায় দু’পক্ষকেই ডাকা হয়েছিল বৈঠকে।
দু’পক্ষের কাছ থেকেই জমির দাবির পক্ষে নথিপত্র চাওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। সেইসব নথিপত্র দেখে জমিটি বাগান কর্তৃপক্ষের বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এদিন কামিনীবাবু জানান, জমি নিয়ে যেসব নথি চাওয়া হয়েছিল তার সবগুলি তিনি দেখাতে না পারাতেই জমি বাগানের বলে জানানো হয়। তিনি বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তবে এর বিনিময়ে তিনি একটি কাজের দাবি করেছেন। সেই দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও জানান কামিনীবাবু। তবে জমি সমস্যা মিটে যাওয়ায় খুশি বাগানের শ্রমিকরা।
বাগান ম্যানেজার জ্ঞানপ্রকাশ দীক্ষিত বলেন, ‘ওই জমি মৈনাক চা বাগানেরই জমি। এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এদিনও প্রশাসনের কর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সত্যের জয় হয়েছে।’ মেখলিগঞ্জের বিএলআরও সুজন রায় জানান, নথিপত্র দেখে জমিটি বাগান কর্তৃপক্ষের বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। মিউটেশন করলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। এদিন চ্যাংরাবান্ধা বিডিও’র দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মেখলিগঞ্জের বিডিও অরুণকুমার সামন্ত, বিএলআরও সুজন রায়, মেখলিগঞ্জ থানার ওসি রাহুল তালুকদার, মৈনাক চা বাগানের ম্যানেজার জ্ঞানপ্রকাশ দীক্ষিত সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।