সন্দীপ সরকার, শিলিগুড়িঃ শুধু বৃক্ষরোপণই নয় দুই হাজার গাছকে দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন শিলিগুড়ির জনাকয়েক যুবক। গান্ধিজয়ন্তীতে গাছ লাগিয়ে সেই গাছের রক্ষনাবেক্ষনের অঙ্গীকার করলেন তাঁরা। সোমবার সকালে শিলিগুড়ির সেবক রোডে গাছ লাগিয়ে সূচনা করলেন বৃক্ষদত্তক নেওয়ার কাজ।
শুধু স্বচ্ছ ভারত অভিযানই যথেষ্ট নয়, পরিবেশকে স্বচ্ছ রাখতে প্রয়োজন গাছের। বিভিন্ন সময়ে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অচিরেই বহু গাছ মরে যায়। এর ফলে অনেকাংশেই বিফলে যায় বৃক্ষরোপণের উদ্দেশ্য। তাই বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি সেই চারাগাছগুলিকে মহীরূহ করে তুলতে শিলিগুড়িতে অভিনব উদ্যোগ নিল নর্থ ইস্টার্ন বিজনেস এমপাওয়ারমেন্ট ফোরাম। গান্ধিজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এদিন ফোরামের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ির সেবক রোডে রোপণ করা হয় বেশ কয়েকটি গাছ। গাছ লাগিয়ে এই কর্মসূচীর সূচনা করেন ‘গাছকাকু’ নামে পরিচিত পরিবেশপ্রেমী মাখন ঘোষ। পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে বৃক্ষরোপণের বার্তা নিয়ে উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি রাস্তায় হাঁটে কচিকাঁচারা।
নর্থ ইস্টার্ন বিজনেস এমপাওয়ারমেন্ট ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জ্যোতির্ময় পাল জানান, প্রাথমিকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ির ব্যস্ততম সেবক রোডে। যেহেতু সেবক রোডে যানচলাচলের সংখ্যা অনেকটাই বেশি তাই এই সড়ককেই বেছে নেওয়া হয়েছে প্রাথমিকভাবে। পরবর্তীতে শিলিগুড়ির প্রতিটি ব্যস্ততম এলাকাতেই লাগানো হবে গাছ। শুধু গাছ লাগানোই নয়, গাছগুলি যাতে বেড়ে ওঠে সেকারণে নিজেদের খরচায় ‘মালি’ নিয়োগ করে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এই উদ্যোগকে সফল করতে আপামর শহরবাসীকে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন জ্যোতির্ময় পাল।
এই প্রসঙ্গে ফোরামের অন্যতম সদস্য দেবায়ন বিশ্বাস বলেন, তাঁদের পরিকল্পনা রয়েছে শহরজুড়ে ২০০০ গাছ লাগানো। এবং সেই গাছগুলিকে দত্তক নিয়ে বড় করে তোলা। যাতে শিলিগুড়ির কংক্রিটের জঙ্গলে আবার ফিরে আসতে পারে সবুজ। সেই সবুজ বিপ্লব ঘটানোর লক্ষ্যেই তাঁরা এগিয়ে যাবেন আগামীতে।