উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লিভ-ইন সম্পর্কে সুরক্ষা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন দুই ভিন্নধর্মী সঙ্গী। তবে মুসলমানদের জন্য বিয়ের আগে একত্রবাস অবৈধ বলে আবেদন খারিজ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি সঙ্গীতা চন্দ্র এবং বিচারপতি নরেন্দ্রকুমার জোহারির ডিভিশন বেঞ্চে। এই ধরনের সম্পর্ক আইনি বিবাহের ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক। এমনকি লিভ-ইন সম্পর্ক প্রচারের চেষ্টা শীর্ষ আদালতও করছে না বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার দাবিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই লিভ-ইন সঙ্গী ২৯ বছরের এক হিন্দু যুবতী এবং ৩০ বছরের এক মুসলিম যুবক। পুলিশ তাদের হেনস্তা করছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। কিন্তু যুবতীর মা তাদের এই লিভ ইন সম্পর্ক মানতে নারাজ। ওই যুবতীর পরিবারের তরফে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। তারপরই নিরাত্তার দাবি করার পাশাপাশি দম্পতি আবেদনে আরও জানিয়েছেন, তাদের ব্যক্তিগত জীবনে বাধা দেওয়া উচিত নয়। পুলিশি হয়রানির হাত থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে সুরক্ষাকবচ দাবি করেন তারা। তারই পর্যবেক্ষণে ওই মন্তব্য করে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত পর্যবেক্ষণে আরও জানিয়েছে, আবেদনকারীরা ভবিষ্যতে বিয়ে করতে ইচ্ছুক কিনা, তা জানাননি। কতদিন ধরে তারা লিভ ইন করছেন এবং বিবাহিত কিনা, কী কারণে পুলিশ তাদের হয়রানি করেছে, তাও জানাননি আবেদনকারীরা। ওই দম্পতি নিছক অভিযোগ নিয়ে আদালতে এসেছেন বলে জানায় ডিভিশিন বেঞ্চ। এতে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয় না। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট লিভ-ইন সম্পর্ককে উৎসাহ দেয় না বলে জানিয়ে দেয় আদালত।