বালুরঘাট: হাসপাতালের গাফিলতিতে গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বালুরঘাট হাসপাতালকে। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিসপুর গ্রামের বাসিন্দা, যুথিকা শীল গত ৪ জুলাই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি হন। জরুরি বিভাগ থেকে তাঁকে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালেই আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার পর, পেটে ব্যথা থাকা সত্ত্বেও ৬ ঘন্টা পর, তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। এরপরও প্রসূতির পেটে ব্যথা না কমায় পরিবারের লোকেরা ১০ জুলাই প্রাইভেটে চিকিৎসক দেখান। সেখানেও আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার পর জানা যায় তাঁর জমজ শিশুর মধ্যে একটি শিশু পেটের মধ্যেই মারা গিয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সেদিনই বালুরঘাট পুরসভার নার্সিংহোমে সিজার করে মৃত পুত্র সন্তানটিকে বের করা হয়। যদিও সুস্থ অবস্থায় কন্যা সন্তানের প্রসব করেন ওই প্রসূতি।
এরপর প্রশ্ন ওঠে, দুই সন্তানের মধ্যে এক সন্তান মৃত ছিল কিনা তা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাফি করার পরও কেন জানানো হয়নি। কেনই বা প্রসূতিকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। প্রসূতির মামা বিরাজ বিশ্বাস জানান, হাসপাতলে আবেদনের পর যে নথি দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে ডিসচার্জ লেটারের অসঙ্গতি রয়েছে। যাবতীয় নথি পাওয়ার পর তাঁরা প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রসূতি যুথিকা শীলের দাবি, হাসপাতালের চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই তিনি তাঁর ছেলেকে হারিয়েছেন। হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ জানান, তিনি কোনও অভিযোগ পাননি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।