নাগরাকাটা: তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা হতেই বিক্ষোভ চরমে উঠেছে নাগরাকাটায়। গত মঙ্গলবার রাতেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে অসন্মানিত হওয়ার কারণ দেখিয়ে দলীয় সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন দলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের মেন্টর অমরনাথ ঝা। বুধবার তাঁর অনুগামীদের নিয়ে একটি বৈঠকও করেন অমরনাথ ঝা। তিনি জানান, দলের নাগরাকাটা ব্লক কমিটির সহ সভাপতি কাজী পান্ডেকে জেলা পরিষদের আসনে টিকিট দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয় নি। একইভাবে পঞ্চায়েত সমি্তির প্রার্থী পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্য বিদায়ী প্রধান আশা ওরাওঁ (লামা) ও উপ প্রধান গীতা ওরাওঁ কে। এর বাইরে আরও যোগ্য প্রার্থীদের নাম দলীয় তালিকায় নেই। তাঁর সংযোজন, কারও সঙ্গে আলোচনা না করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, আমরা সেসবের কিছুই জানতে পারছি না। অথচ অঞ্চল কমিটির সভাপতিরা জেনে যাচ্ছেন। ক্ষুব্ধ অমরনাথ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক কমিটির সভাপতি সঞ্জয় কুজুরের বিরুদ্ধেও তাঁর ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি অবশ্য দল ছাড়ার কথা কিছু জানান নি। বলেছেন, দরকারে বসে যাবো। ভোট তৃণমূলকেই দেবো। তবে অন্য দলে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজটি এদিনই প্রথম তৃণমূল কংগ্রেস শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে চরম বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয় ওই পর্বকে কেন্দ্র করে। ব্লক সভাপতি সঞ্জয় কুজুরকে ঘিরে তৃণমূল ক্ষোভ প্রদর্শন করেন প্রার্থীপদ প্রত্যাশী অনেকেই। ক্ষুব্ধ সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান ও উপপ্রধান মনোনয়ন পত্র জমাও দিয়ে দেন। তবে তাঁরা আদৌ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক পাবেন কিনা তা একেবারেই পরিষ্কার নয়।
ব্লক সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, ‘যাদের প্রার্থী হিসেবে বাছা হয়েছে তা অঞ্চল ও বুথ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই। বুথ প্রতি ৩ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল। ২ জন স্বাভাবিক কারণেই বাদ গিয়েছেন। প্রত্যেকেরই আশা থাকে। সেটা পূরণ না হওয়ার কারণেই সামান্য কিছু ক্ষোভ বিক্ষোভ। তবুও সবার সঙ্গে আরও বিশদে আলোচনা চলছে।’ অমরনাথ ঝায়ের ক্ষোভ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘ওঁনার সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। তিনি সিনিয়র নেতা। নির্বাচনী কোর কমিটির সদস্য। তাঁকে দলের অবশ্যই প্রয়োজন। বাড়িতে বসে থেকে শুধু আমাকে দোষ দেওয়াটা অন্যায়।’