রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: প্রবল শীতে জবুথবু শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কের প্রাণীদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করছে কর্তৃপক্ষ। কারও জন্য রুম হিটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাউকে গরম গরম সুপ খেতে দেওয়া হচ্ছে। কারওর জন্য আবার শাল আনা হয়েছে। ইমিউনিটি বজায় রাখতে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবারও খেতে দেওয়া হচ্ছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, লেপার্ড, ম্যানড্রিল, উল্লুকের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সাফারির ক্ষেত্রেও পালা করে ছাড়া হচ্ছে পার্কের প্রাণীদের। হাতিদের জন্যও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজ্য জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরীর বক্তব্য, ‘বিভিন্ন প্রাণীর জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হচ্ছে।’
পাহাড়ে তুষারপাত এবং সমতলে কনকনে শীতল হাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি বেঙ্গল সাফারি পার্কের প্রাণীরাও কুপোকাত। প্রতিবছরই ঠান্ডার সময় সাফারি পার্কের কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রাণীর ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে চলতি বছর ঠান্ডা একটু বেিশ পড়ায় পশুদের একটু বেশিই যত্ন নেওয়া হচ্ছে।
কী কী ব্যবস্থা থাকছে এবার? জানা গিয়েছে, মাংসাশী প্রাণীদের এনক্লোজারের মেঝেতে কাঠের তক্তা পেতে দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে রুম হিটার। উল্লুকদের রাতের থাকার জায়গায় লাগানো হয়েছে ওয়েল রেডিয়েশন হিটার। এগজটিক বাঁদরদের জন্য রাতে হট এয়ার ব্লোয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাখিদের জন্য শুকনো পাতা এবং কাঠের গুঁড়ো ব্যবহার করা হচ্ছে। হাতিগুলিকে চারদিক থেকে ঘেরা জায়গায় রাখার পাশাপাশি হাতিশাল ব্যবহার করা হচ্ছে। থাকার জায়গা পরিবর্তনের পাশাপাশি তাদের ডায়েটেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ভালুক সহ সমস্ত মাংসাশী প্রাণীদের পাতে বেশি মাংস পড়ছে। সরীসৃপদের শরীরে সরাসরি রোদ লাগানোর জন্য কয়েকটি গাছের পাতা ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে পাখিদের খাবারের বেশি করে বাদাম এবং তৈলবীজ দেওয়া হচ্ছে বলে পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকরা এরপর যা পরামর্শ দেবেন, সেই অনুসারে চলা হবে বলে জানিয়েছেন পার্কের কর্তারা।