বেজিং: ২০২৩ সালের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করল চিন। সেখানে অরুণাচল প্রদেশ (যেই এলাকাকে চিন দক্ষিণ তিব্বত বলে চিহ্নিত করে), আকসাই চিন, তাইওয়ান এবং বিতর্কিত সাউথ চায়না সি এলাকাকে নিজেদের দেশের অংশ বলেই দাবি করেছে শি জিনপিং এর দেশ। ফের চিনের মানচিত্রে ভারতের অংশ থাকায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। ২০২৩ সালে চিনের এই মানচিত্র প্রকাশ করেছে সে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে। মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় ভূখণ্ডের একাধিক অংশ চিনের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে।
২০২১ সালে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের ১৫টি জায়গা দখল করে নিজেদের মানচিত্রে ঢুকিয়ে দিয়েছিল চিন। বেজিং এই ১৫টি জায়গার নতুন নাম দিয়ে একটি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছিল চিনের অসামরিক বিষয়ক মন্ত্রক। সেই ১৫টি জায়গার মধ্যে আটটি বসতি এলাকা, চারটি পর্বত, দুটি নদী এবং একটি গিরিপথ ছিল। এর আগেও নানাভাবে ভারতের নানা ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করেছিল চিন।
খুব সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ব্রিকস সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে দেখা করেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও কোনও একান্ত বৈঠক হয়নি। বিদেশ সচিব বিনয় কাটরা জানিয়েছেন, জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে ভারত চিন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সমাধান না হওয়া দ্বিপাক্ষিক ইস্যু গুলোকে নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
সোমবার প্রকাশ করা এই মানচিত্রকে স্ট্যানডার্ড ম্যাপ হিসেবে উল্লেখ করেছে চিন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এহেন বিতর্কিত ম্যাপ প্রকাশ করে চিন ভারতকে উসকানি দিতে চাইছে। তবে ভারত এক্ষেত্রে সতর্ক রয়েছে। চিন সীমান্তেও চলছে কড়া নজরদারি। সম্প্রতি সীমান্তে উত্তেজনা উসকে দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে ড্রাগনের দেশ। কোনও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সীমান্তের একেবারে কাছ ঘেঁষে চিন একের পর এক বাড়ি তৈরি করছে বলেও সূত্রের খবর। সীমান্তের দু পাশে ‘নো ম্যান্স ল্যান্ড।’ ঘেঁষে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে এমনই একগুচ্ছ গ্রাম তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু গ্রাম তৈরিই নয়, চিন সেনার ব্যারাকও চোখে পড়ছে সেই বসতির কাছে।