উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার কিছুটা হলেও সাফল্য পেয়েছে সিপিএম। সাফল্য মিলতেই নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে মরিয়া হয়ে উঠেছে বামেরা। এর আগে এক সহায়সম্বলহীন পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল সিপিএম। এবার চাঁদা তুলে বানিয়ে দিল বাড়ি। মানুষের আস্থা ফিরে পেতে একের পর এক পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে বামেরা।
ঘটনাটি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজির পাড়া ১৭/১৬০ নম্বর বুথের। এই বুথের বাসিন্দা ৬৫ বছরের মিলন রায়। সহায়সম্বলহীন ওই বিধবা মহিলার ঘর কয়েক বছর আগে ঝড়ে ভেঙে যায়। তারপর থেকে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে বাড়ির পাশেই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছেন। পরিচারিকার কাজ করে কোনওরকমে দিন গুজরান করেন। আবাস যোজনায় আবেদন করেও মেলেনি ঘর। মিলন রায় জানান, স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে আবাস যোজনার ঘরের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অন্যরা ঘর পেলেও তাঁর ভাগ্যে ঘর জোটেনি। এমনকি হত দরিদ্র হয়েও পাননা বিধবা ভাতা অথবা বার্ধক্য ভাতা।
ভোট প্রচারে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে সিপিএম কর্মীদের। সেই সময়ই মিলনদেবীর পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরা। এবার ওই গ্রামে জিতেছে সিপিএম প্রার্থী গৌরী রায় শীল। তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতোই গ্রামের সিপিএম কর্মীরা যে যার সাধ্য মতো চাঁদা তুলে মিলন রায়ের বাড়ি মেরামতির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। শুরু হয়েছে ঘর সংস্কারের কাজও। এই বিষয়ে তৃণমূলের বিদায়ী উপ প্রধান সুভাষ চন্দ্র বলেন, ওই মহিলার কাছ থেকে পলিথিন বা বাড়ির জন্য কোনও আবেদন আসেনি। তা যদিও আসত নিশ্চই পেতেন।