বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর: সারনা ধর্মের স্বীকৃতি সহ একাধিক দাবিতে শনিবার ১২ ঘণ্টা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়ও এর প্রভাব পড়েছে। বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে বন্ধ রয়েছে বেসরকারি বাস চলাচল। শুধুমাত্র দূরপাল্লার বাস আসছে। তবে সরকারি বাস চলাচল করছে। সেক্ষেত্রে যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কম। বাস সেভাবে না চলায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্য যাত্রীরা। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বালুরঘাট শহরজুড়ে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। এদিন সকালে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে হিলি মোড় এলাকায় আসেন বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা।
গঙ্গারামপুরেও রেল অবরোধের খবর মিলেছে। এদিন তীর, ধনুক নিয়ে গঙ্গারামপুর রেলস্টেশনে পৌঁছান আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা। বালুরঘাট রেল স্টেশন থেকে গঙ্গারামপুর রেলস্টেশনে সকাল সাতটা নাগাদ তেভাগা এক্সপ্রেস এসে পৌঁছোতেই রেল অবরোধ করেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ রেল অবরোধের জেরে চরম বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। এবিষয়ে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি পরিমল মার্ডি জানান, সারনা ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতে এদিনের এই রেল অবরোধ করা হয়েছে। তাঁদের দাবিকে কেন্দ্র স্বীকৃতি না দিলে রেল অবরোধ উঠবে না বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকেও ৬ দফা দাবিতে ‘আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান’-এর ডাকে জেলায় জেলায় রেল অবরোধ ও চাক্কা জ্যাম করা হয়েছিল। তার জেরে আটকে পড়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, ঝাড়খণ্ডের পরেশনাথ মন্দিরকে আদিবাসী জনজাতির হাতে তুলে দেওয়া সহ ৬ দফা দাবিতে, বাংলা, বিহার, ওডিশা, ঝাড়খণ্ড ও অসমে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির ডাক দেয় ‘আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান’ নামে একটি সংগঠন।