উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এবার শিক্ষা ব্যবস্থা খোলনলচে বদলে ফেলছে রাজ্য। জাতীয় শিক্ষানীতি পুরোপুরি না মেনে পৃথক শিক্ষানীতি তৈরি করছে রাজ্য সরকার। তাতে দেখা যাচ্ছে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বাড়ছে এমসিকিউ টাইপ প্রশ্ন। এতদিন প্রশ্নপত্রে প্রথম ভাগে থাকত এমসিকিউ, আর দ্বিতীয় ভাগে থাকত বড় প্রশ্ন। এবার বড় প্রশ্নের সংখ্যা কমিয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে এমসিকিউতে।
রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে ৪+৪+২+২ নীতিতে চলছে। ৫+৩+৪ ফরম্যাট আনতে চায় জাতীয় শিক্ষানীতি। মাধ্যমিক পরীক্ষা তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে জাতীয় শিক্ষানীতি। কিন্তু রাজ্য সরকার এই প্রস্তাবে রাজি নয়। তার বদলে রাজ্য চাইছে, চারটে সেমিস্টার হোক উচ্চমাধ্যমিক স্তরে। অর্থাৎ একাদশে দুটি এবং দ্বাদশে দুটি সেমিস্টার। দ্বাদশ শ্রেণীর সেমিস্টারের ভিত্তিতে হবে নম্বর নির্ধারণ।
তিন, রাজ্য শিক্ষানীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি ভাষাকে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দ্বিভাষিক পঠনপাঠনের ওপর জোর দিচ্ছে রাজ্য। রাজ্যের মতে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বেশিরভাগ পড়ুয়াই ইংরাজিতে সড়গড় নয়। ‘বাই লিঙ্গুয়াল’ হলে পড়ুয়াদেরই সুবিধা হবে। পাশাপাশি বাংলাকে ভাষাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের তরফে। অর্থাৎ বাংলা মাধ্যম স্কুলে যারা পড়ছে তারা তো বাংলা শিখবেই, যারা হিন্দি মাধ্যম স্কুলে পড়বে, তারা হিন্দির পাশাপাশি ‘থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ’ হিসাবে বাংলা পড়তে হবে। যারা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ছে, তারাও ‘থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ’ হিসাবে বাংলা, হিন্দি অথবা সংস্কৃত নেবে। মূলত বাংলাকে জোর দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।