আলিপুরদুয়ার: চকোয়াখেতি, পূর্ব কাঠালবাড়ি, পাতলাখাওয়া এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এরপর থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি প্রার্থীদের দল পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি কর্মীদের দাবি, শাসকদলের তরফে জোর করে তাঁদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তাঁদের ভাঙিয়ে তৃণমূল বোর্ড গঠন করতে চাইছে। এই চাপের হাত থেকে বাঁচতে দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন বিজেপি প্রার্থীরা।
ইতিমধ্যে দলের নয়জন পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির আলিপুরদুয়ার পার্টি অফিসে থাকছেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে সেখানেই ঢালা বিছানা করে থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বিজেপির জেলা মিডিয়া সেলের মুখপাত্র শংকর সিনহা জানিয়েছেন, তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা জয়ী হয়েছেন। ওই সকল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দলে টানতে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সক্রিয় হয়েছে। তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য নিরাপদ জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি দেবব্রত পাল জানান, বিরোধীদের শাসকদলে যোগদানের কোনও পরিকল্পনা নেই। বিজেপি হেরে গিয়ে এসব গল্প তৈরির চেষ্টা করছে।‘