ফালাকাটা: সভায় যেতে বাধা দেওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিদাররা। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে পথ অবরোধ চলে নিউ পলাশবাড়ি এলাকায়। ফালাকাটা থেকে আলিপুরদুয়ারগামী নির্মীয়মাণ মহাসড়কে অবরোধের জেরে আটকে পড়ে বহু যানবাহন। আর এদিনের অবরোধে শামিল হয় কেপিপি(ইউ), আকসু, অল কামতাপুর কোচ রাজবংশী সমাজ সহ একাধিক সংগঠন। তবে এই সব সংগঠন পৃথক কামতাপুর স্টেট ডিমান্ড কমিটির সঙ্গে যুক্ত।
জানা গিয়েছে, পৃথক রাজ্যের দাবিতেই এদিন জলপাইগুড়ি জেলার জল্পেশে জনসভা ছিল। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন সেই জনসভার অনুমতি দেয়নি। তা সত্ত্বেও সেখানে প্রতিবাদ সভার উদ্দেশ্যে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের শালকুমারহাট, পূর্ব কাঁঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে একাধিক বাসে নেতাকর্মীরা শনিবার রাত থেকেই যাওয়া শুরু করেন। রবিবার সকালেও বেশকিছু বাস যায়। কিন্তু শালকুমার মোড় ও পলাশবাড়িতে তিনটি বাস পুলিশ আটক করে। এভাবে যেতে বাধা দেওয়ায় নিউ পলাশবাড়িতে সনজয় সেতুর মুখেই পথ অবরোধ শুরু করেন নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে সোনাপুর ফাঁড়ির বিশাল পুলিশ অবরোধস্থলে পৌঁছোয়। তারপর ঘটনাস্থলে আসেন আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ ভট্টাচার্য, সোনাপুর ফাঁড়িরি ওসি অসীম মজুমদার। কিন্তু পুলিশকর্তাদের আশ্বাসে অবরোধ তোলেননি আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও স্লোগান তোলেন। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ জনসভার অনুমতি দেয়নি। আর এদিন সভায় যাওয়ার জন্য বাসও আটক করে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের নেতা হীরেন দেব সিংহের বক্তব্য, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই সভার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের আটক করে। সেই প্রতিবাদেই পথ অবরোধ।’ এদিকে পুলিশকর্তারা আন্দোলনকারীদের বোঝাতে চান যে, ওই সভার অনুমতি নেই বলেই বাস আটক করা হয়। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি। তবে শেষে আন্দোলনকারীরা নিজেদের ইচ্ছেতেই দুপুর দেড়টা নাগাদ অবরোধ তুলে নেন।