প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বগটুই কাণ্ডে ধৃত লালন শেখের মৃত্যু হয় সিবিআই হেপাজতে। এই মৃত্যুর তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার সামলাচ্ছে সিআইডি। এই আবহে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু রহস্যের কিনারা করার যাবতীয় দায়িত্ব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে নারাজ দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে এই মর্মে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে বিশেষ বেঞ্চ। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট তদন্তে স্বচ্ছতার প্রয়োজনে ভিনরাজ্যের কোনও পুলিশকর্তাকে নিয়োগ করার কথাও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন শীর্ষ আদালতে শুনানির শুরুতেই বিচারপতি সঞ্জীব খান্না কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজুর তরফে করা সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করে দেন। বিচারপতিরা জানান, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করেই তাঁরা লালন শেখের মৃত্যু রহস্যের কিনারার জন্য সিবিআইকে দায়িত্ব দিতে নারাজ। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, ‘মি: রাজু, এখানে ডেথ ইন কাস্টডি হয়েছে৷ আপনি এটাকে কাস্টোডিয়াল ডেথ (পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু) মানতে নারাজ৷ আমরা বলছি ডেথ ইন কাস্টডি৷ আত্মহত্যায় এই মৃত্যু হয়েছে কি না দেখতে হবে আমাদের৷ এখানে ফেয়ার ইনভেস্টিগেশন হতে হবে, কোনও একটি দিকে বিশেষ ভাবে ঝুঁকে থাকলে হবে না৷’
এই প্রসঙ্গেই এএসজি এস ভি রাজুর দাবি, ‘আমরাও স্বচ্ছ তদন্ত চাই৷ পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি আপনারা জানেন, আমাদের নতুন করে বলার কিছুই নেই৷’ রাজুর দাবি খারিজ করে বিচারপতি খান্নার পর্যবেক্ষণ, ‘এখানে রাজনীতি প্রবেশ করছে৷ আমরা হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের মধ্যে প্রয়োজনে পড়শি রাজ্য ওড়িশার কোনও একজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছি৷’ এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে নোটিশ জারি করে সব পক্ষের জবাব তলব করা হয়, জানানো হয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩০ অক্টোবর৷