মুর্শিদাবাদ: জঙ্গল থেকে মানুষের পোড়া দেহাংশ উদ্ধারকে ঘিরে শোরগোল এলাকায়। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার পঞ্চবটি গ্রামে। স্থানীয়দের একাংশের ধারণা, কালীপুজোর সময় তাঁকে নরবলি দিয়ে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও জেলা পুলিশের কর্তারা এখনও এবিষয়টি মানতে নারাজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে কাজে যাওয়ার সময় গ্রামের সিআইএসএফ ক্যাম্প থেকে কিছুটা দূরে একটি জঙ্গলের মধ্যে পোড়া দেহাংশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। দেহাংশ থেকে কিছুটা দূরে এক ব্যক্তির জামা-প্যান্ট উদ্ধার হয়। যদিও কাপড়ে পোড়ার কোনও দাগ ছিল না। তা দেখে স্থানীয়দের একাংশের ধারণা, কালীপুজোর সময় তাঁকে নগ্ন করে নরবলি দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। ওই জঙ্গলে এক পূর্ণবয়স্ক পুরুষের পুড়ে যাওয়া বাঁ হাত, মাথার খুলি সহ বাকি দেহাংশ তাঁরা দেখতে পেয়েছেন বলে জানান।
অনিমেষ ঘোষ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার বক্তব্য, যে এলাকায় ওই পোড়া দেহাংশ পাওয়া গিয়েছে সেখানে রাতের বেলায় কেউ যায় না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেরই ধারণা ওই এলাকায় ভূত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকার কেউ এই মুহূর্তে নিখোঁজ নেই। তাই আমাদের ধারণা যাঁর দেহাংশ পাওয়া গিয়েছে তিনি এই এলাকার বাসিন্দা নন।’ স্থানীয়রা এও জানান, যেখানে দেহাংশগুলি পাওয়া গিয়েছে তার ঠিক পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ফল্গু নদী। তবে স্থানীয়রা জানান, এলাকার কেউ তন্ত্র সাধনা করেন না। দেহাংশগুলি যে এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে পুলিশ সেখানে তন্ত্র সাধনার কোনও চিহ্ন খুঁজে পায়নি। স্থানীয় কয়েকজন এদিন ওই জঙ্গল থেকে কিছু নেশার সামগ্রী খুঁজে পান। এবিষয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানান, কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা জানতে দেহাংশগুলি ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।