শিলিগুড়ি: উড়ালপুলের নীচ দিয়ে আলুপট্টি হয়ে হাসমি চকের দিকে যেতে হলে নিশ্চিতভাবে হাতের বাঁ দিকের পরপর বাসনপত্রের দোকান অধিকাংশের চোখে পড়ছে। স্টিলের হাঁড়ি, কড়াই, গামলা থেকে বিভিন্ন সামগ্রী যেখানে ডাঁই করে রাখা থাকে। দোকানের সেই বাসনপত্র রাস্তার ওপর নিয়ে এসে বর্তমানে চলছে বিক্রিবাটা। মসজিদের আগে সেই রাস্তায় তাই অধিকাংশ সময় যানজট লেগেই থাকে। রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটাচলা করাও মানুষের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাস্তার ওপর মজুত করা সামগ্রী সরিয়ে যাতে ব্যবসা চলে সেই দাবি উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা ২ নম্বর বরো চেয়ারম্যান আলম খানের বক্তব্য, ‘যাঁরা রাস্তার ওপর সামগ্রী রেখে ব্যবসা করছেন তাঁদের আগেও সেগুলি সরিয়ে দিতে বলেছিলাম। পুলিশ গিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছিল। তারপর একইভাবে ব্যবসা চলছে। রাস্তায় সামগ্রী রাখার ফলে যানজট হচ্ছে। শীঘ্রই এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’ কিন্তু কাউন্সিলারের ভূমিকা নিয়ে এলাকার অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের কথায়, ‘কাউন্সিলার চাইলে রাস্তা খালি করে দিতে পারেন।’
মহাবীরস্থান রেলগেট হয়ে যাঁরা নিত্যদিন আলুপট্টি হয়ে হাসমি চকের দিকে যান, তাঁরা যানজটের বিষয়টি সবচাইতে ভালো করে উপলব্ধি করতে পারেন। বিশেষ করে, আলুপট্টির যে অংশে উড়ালপুলটি শেষ হয়, সেখানে সবচেয়ে বেশি যানজট তৈরি হয়। মহাবীরস্থান এলাকার বাসিন্দা মণীশ গোয়েলের কথায়, ‘ব্যবসার কারণে রাস্তায় যানজট লেগে থাকবে তা মেনে নেওয়া যায় না। দোকানের ভেতর সামগ্রী রাখা উচিত। কেউ যদি তা রাস্তার ওপর রেখে ব্যবসা করেন, তা প্রশাসনের বাজেয়াপ্ত করা উচিত।’ রাস্তার ওপর সামগ্রী রাখার পাশাপাশি দোকানের সামনে সাইকেল, বাইক, ভ্যান, টোটো, রিকশা দাঁড় করানো থাকে। সেই কারণে রাস্তা আরও ছোট হয়ে যায়। চপ্পলপট্টির বাসিন্দা মহম্মদ মোক্তারের বক্তব্য, ‘এই এলাকার যানজট বন্ধের জন্য ট্রাফিক পুলিশের থাকা প্রয়োজন। কাউন্সিলারের বিষয়টি নিয়মিত দেখা উচিত। নয়তো রাস্তার ওপর ব্যবসা চলবেই।’