সামসী: কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে রাজ্যের কলেজগুলিতে অধ্যক্ষ নিয়োগ হলেও, এখনও অধ্যক্ষ থেকে বঞ্চিত চাঁচল কলেজ(Chanchal College)। এদিকে, ২০০৮ সালে অধ্যক্ষ সুখেন্দু কুমার দাস অবসর গ্রহণ করেন চাঁচল কলেজ থেকে। তারপর থেকে আর অধ্যক্ষ(Principal) পায়নি চাঁচল কলেজ। তাই একটানা ১৬ বছর ধরে টিআইসি দিয়েই চলছে উত্তর মালদার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ওই কলেজে সুষ্ঠু পঠন-পাঠনের স্বার্থে স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার শিক্ষানুরাগীরা।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে চাঁচল কলেজের ছাত্রছাত্রী প্রায় সাত হাজার। স্থায়ী অধ্যাপক রয়েছেন ১৭ জন। পার্ট টাইম অধ্যাপক রয়েছেন ২৬ জন। শিক্ষাকর্মী প্রায় ১৬ জন। লাইব্রেরিয়ান রয়েছেন ১ জন। কলেজ এখনও এনএএসি হয়নি। কলেজে পানীয়জল সহ বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। কলেজের পরিকাঠামোগত সার্বিক উন্নয়নের জন্য স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ খুব দরকার বলে মনে করেন চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিউশনের সহশিক্ষক তথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন।
ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরেক সহশিক্ষক তথা চাঁচল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র পার্থ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, চাঁচল কলেজের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ নেই তা একেবারে বেমানান। এখানে স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ হওয়া খুব দরকার। মালতীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক আলবেরুনি জুলকারনাইনের সাফ বক্তব্য, ‘এটা রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত ব্যর্থতা। চাঁচল কলেজে যাতে খুব শীঘ্রই অধ্যক্ষ নিয়োগ হয় সে বিষয়টি সরকারকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।‘