নাগরাকাটা: গত আটদিনে তিনবার। ফের জরুরিকালীন ব্রেক কষে চাপরামারি অভয়ারণ্যের রেললাইনে উঠে পড়া হাতির প্রাণ বাঁচালেন দুই চালক। রবিবার বিকেলের ঘটনা। বিজনি স্টেশনগামী একটি আপ কন্টেনার ট্রেনের লোকো পাইলট ডি সিং ও অ্যাসিট্যান্ট লোকো পাইলট পি দাস হঠাৎই একটি মাকনা হাতিকে রেললাইনের ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা জরুরিকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন। হাতি লাইন পেরিয়ে একদিকের জঙ্গল থেকে অন্যপাশের জঙ্গলে যাওয়ার পরই তাঁরা গন্তব্যে রওনা দেন।
গত ১৬ অগাস্ট শিলিগুড়ি জংশন থেকে ধূবুড়িগামী ডেমু এক্সপ্রেসকেও ওই রেলপথেই লোকো পাইলট জীতেন্দ্র কুমার ও অ্যাসিট্যান্ট লোকো পাইলট ডি কুমার একটি হাতিকে লাইনের ওপর দেখতে পান। সেদিনও সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন। ৪ মিনিট ওই যাত্রীবাহী ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকে। গজরাজ লাইন ছেড়ে জঙ্গলে ঢোকার পরই ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তার আগের ঘটনাটি ঘটে ১১ অগাস্ট রাতে৷ জলঢাকা সেতুর সামনে একইভাবে হাতির প্রাণ বাঁচিয়ে ছিলেন আপ কাপল লাইট ইঞ্জিন নামে একটি ট্রেনের দুই চালক অনিল কুমার ও আর কে মাহাতো।
আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার অমরজিৎ গৌতম বলেন, ‘বুনোদের রক্ষায় আমাদের আপ্রাণ চেষ্টায় কোনও খাদ নেই। জঙ্গলের পথে চালকদের বেঁধে দেওয়া নিয়ন্ত্রিত গতিবেগে ট্রেন চালানোর পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া আছে। এই প্রতিটি ট্রেন চালকদের ধারাবাহিকভাবে সচেতন করার কাজটিও জারি আছে।’