উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যপালের আমন্ত্রণে সারা দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় রাজভবনে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজভবনের তরফে আয়োজন করা হয় ‘স্টেট রিসেপশন’-এর। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও আমন্ত্রিতের তালিকায় ছিলেন রাজ্যের একাধিক পদস্থ আমলা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্য পুলিশের ডিজি উপস্থিত রয়েছেন রাজভবনে। আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন বিভিন্ন বিশিষ্টজনও। সংঘাতের আবহে রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক বিশেষ তাতপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ চরমে পৌঁছেছে। শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই নয় একাধিক ইস্যুতে দুই প্রধানের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। তৃণমূলের অনেক প্রথম সারির নেতাই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ‘পঙ্গপাল’ বলে কটাক্ষ করেছেন। গতকাল কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানেও রাজ্যপালের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এসবের মধ্যেই রাজভবনে বাংলার প্রশাসনিক প্রধান ও সাংবিধানিক প্রধানের সাক্ষাতের পর পরিস্থিতি কিছুটা মসৃণ হয় কি না, সেই দিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।
এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজভবনের ভিতরে ঢোকার সময় মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘তোমাদের নিমন্ত্রণ করেছে খেতে? খাবার দিয়েছে?’ এরপরই মৃদু হেসে রাজভবনের ভিতরে চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ধনকড়ের সময় থেকেই রাজ্য-রাজ্যপালের বিবাদ শুরু হয়। অবস্থার পরিবর্তন হয়নি সিভি আনন্দ বোসের জমানাতেও। উলটো আরও একধাপ এগিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যকে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় অশান্তি রুখতে রাজভবনে ‘পিস রুম’ খোলেন সিভি। কড়া ভাষায় এর নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, রাজ্য বিধানসভার বিভিন্ন বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম আচার্য বিল। এমন অবস্থায় রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতের পর জল কোন দিকে গড়ায়, সেই দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।