বেলাকোবা: টাকার বিনিময়ে সাত মাসের শিশুকে বিক্রির (Child Trafficking) অভিযোগ উঠল বাবা, মা ও স্থানীয় বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের বেলাকোবা (Belakoba) গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙাবাড়ি এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তদের বেধড়ক মারধর করেন গ্রামবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জলপাইগুড়ির বেলাকোবার রাঙাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব বর্মন এবং তার স্ত্রী বিদ্যারানী বর্মন সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে চেওড়া পাড়া এলাকায় এক দম্পতির কাছে তাঁদের সাত মাসের সন্তানকে বিক্রি করেন। তাঁদের এই কর্মকাণ্ডে বিজেপির স্থানীয় এক বুথ সভাপতি মদত দিয়েছে বলে অভিযোগ। টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। এনিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। গত মঙ্গলবার এই ঘটনাকে ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকায়। অভিযুক্ত বিপ্লব বর্মন এবং স্থানীয় বিজেপির ওই নেতা উপেন্দ্রনাথ রায়কে কার্যত উত্তমমধ্যম দেন স্থানীয়রা। গোটা ঘটনা বেলাকোবা পুলিশ ফাঁড়িতে (Belakoba police) জানানো হলেও পরবর্তীতে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশকেও মৌখিকভাবে জানানো হয়। এই ঘটনায় উলটে গ্রামেরই চারজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিজেপি নেতা। স্থানীয়দের দাবি, শিশুটি যাতে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যায়, এটাই চান তাঁরা। এদিকে যে দম্পতি শিশুটিকে নিয়েছিল তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা সরকারিভাবে যে প্রক্রিয়া রয়েছে সেই পদ্ধতিতে শিশুটিকে দত্তক নিয়েছেন। বিয়ের দশ বছর হলেও তাঁদের কোনও সন্তান না থাকায় শিশুর বাবা বিপ্লব বর্মন তাঁর বাড়িতে এসে সন্তানকে দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
জানা গিয়েছে, বতর্মানে শিকারপুরের পাতিলাভাষা গ্রামে শিশুটি তার মামা বাড়িতে রয়েছে। শিশুর মা এবং বাবা পলাতক। এদিকে এই ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতিক রং। বিজেপির বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের সহ সভাপতি শুভময় বাগচী বলেন, ‘ওই ব্যাক্তি বিজেপির কোনও সাংগঠনিক দায়িত্বে নেই, তিনি সমর্থক হতে পারেন। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’ পাশাপাশি তৃণমূলকে কটাক্ষের সুরে বলেন, সামনে লোকসভা নির্বাচন, তাই বিজেপির নামে কুৎসিত প্রচার চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি দেবাশিস বিশ্বাসের বক্তব্য, বিজেপি শিশু পাচার, গাঁজা পাচারের সঙ্গে সব সময় জড়িত। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে।