আসানসোল: চিটফান্ডকাণ্ডে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা প্রতারণা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়েছিল আসানসোলের রূপনারায়ণপুরে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করল হুগলির চুঁচুড়া থানার পুলিশ। কিভাবে এত বড় একজন প্রতারক রূপনারায়ণপুরে এসে বাড়ি ভাড়া নিলেন এবং এলাকার পাশে মাঠে একটি কারখানাও গড়ে তুললেন, তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম সুব্রত দাস (৫৭)। সেবির অভিযোগের ভিত্তিতে তার নামে সমন নিয়ে গত মঙ্গলবার চুঁচুড়া পুলিশের সালানপুর থানা ও রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ একযোগে বাড়িতে ও কারখানায় হানা দেয়। কিন্তু তার খোঁজ মেলেনি। প্রতিমুহূর্তে তাকে ট্র্যাক করে শেষ পর্যন্ত রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির ওসির নেতৃত্বে ধরা পড়ার পর তাকে চুঁচুড়া পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অভিযোগ, চিটফান্ডের ব্যবসা করে মূলত হুগলি জেলার মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা টাকা তুলেছিল সুব্রত দাস ও তার সহযোগীরা। তার স্ত্রী সহ আর তিনজন এই কোম্পানির অন্যতম প্রধান কর্তা। ২০১৫ সালে তাদের বিরুদ্ধে সেবির পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের পরই নিজেদের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গা ঢাকা দেয় তারা। সেই সময় সুব্রতবাবু, তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে চলে আসেন রূপনারায়ণপুরে। সেখানে তিনি হিন্দুস্তান কেবলস রোডের ওপরে একটি মনসা মন্দির সংলগ্ন বাড়িতে ভাড়া নেন। ধীরে ধীরে পরিচিতি বাড়িয়ে তিনি পিঠাকেয়ারির ৭২ নম্বর বুথে ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম তোলেন। নির্বাচনে এখান থেকে তিনি ভোটও দেন। ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন সালানপুর ব্লকে এনটিপিসি মাঠের কাছেই গড়ে তোলেন তার আলমারি এবং গ্রিল তৈরির কারখানা। আর সেই কারখানায় কাঁচামাল সরবরাহ করতেন স্থানীয় ছোট ব্যবসায়ীরাও। সেবির দায়ের করা ২০১৫ সালের অভিযোগ নিয়ে চুঁচুড়া পুলিশ তৎপর হয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।