উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত অশনাক্ত ২৮টি দাবিহীন দেহ দাহ করা হল। বুধবার ভুবনেশ্বর পুরসভার তরফে দেহগুলির দাহ সম্পন্ন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে দেহগুলি সংরক্ষন করে রাখা হয়েছিল ভুবনেশ্বরের এইমসে। আইনি বিষয়গুলির কথা মাথায় রেখে দেহ গুলি থেকে ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত ২ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে ওডিশার বালেশ্বরে। বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা স্টেশনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছিল ওডিশার বালেশ্বর। রক্তে ভেসেছিল বাহানাগা স্টেশনের আশপাশের এলাকা। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৬২ জন যাত্রীর। ১৩৪ জন মৃত যাত্রীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলেও ২৮ যাত্রীর দেহ শনাক্ত না হওয়ায় এতদিন দেহগুলি সংরক্ষন করে রেখে দেওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে। মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরের এইমস কর্তৃপক্ষ সিবিআই-এর আধিকারিকদের উপস্থিতিতে মৃতদেহগুলি পুরসভার হাতে তুলে দেয়।
চার মাস ধরে এইএমস হাসপাতালে থাকা মৃতদেহগুলির দাহ প্রক্রিয়া মঙ্গলবার শুরু হয় ভুবনেশ্বর পুরসভার তরফে। ভরতপুর শ্মশানে দাহ প্রক্রিয়া শেষ হয় বুধবার সকাল ৮টায়। বিএমসির মেয়র সুলচনা দাস জানান, দেহগুলির অন্ত্যেষ্ঠীক্রিয়ার জন্য মহিলা স্বেচ্ছাসেবকরা এগিয়ে এসেছিলেন। তাদের কাছে মৃতদেহগুলি কোন ধর্মের বা কোন জাতের সেগুলি কোনও বড় বিষয় ছিল না।
ভুবনেশ্বর পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সব দাবিহীন মৃতদেহ রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে দাহ করা হয়েছে। শেষকৃত্যে মৃতদেহ হস্তান্তরের পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। মৃতদেহগুলির ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়েছে। কারণ ভবিষ্যতে যে কেউ দেহের দাবি করতেই পারে। যদিও চার মাসে ২৮টি দাহ দাবি করতে কেউ আসেনি। তাই, আইনি বিষয়গুলি মাথায় রেখে ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুবনেশ্বরের এইমসের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক প্রভাস ত্রিপাঠি।