আসানসোলঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জ থানার বল্লভপুরের ষষ্ঠীতলা এলাকায় বেশ কিছুটা অংশে ধস নামার ঘটনা ঘটে। আর এই ধসে এলাকায় বিশালাকার গর্ত তৈরি হয়েছে। শনিবার রাতের এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার প্রায় শ’খানেক পরিবার। খবর পেয়েই রবিবার সকালে এলাকায় পৌঁছান সিপিএমের নেতা হেমন্ত প্রভাকর। তিনি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় তিনি বিডিওকে গোটা ঘটনার কথা ম্যাসেজ করে জানিয়ে দেন। সেই সঙ্গে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পরে বেশ কয়েক ঘন্টা আসানসোল শিল্পাঞ্চলের পাশাপাশি রানিগঞ্জে বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টি হয়। সেই বৃষ্টির ফলে শনিবার রাতে রানিগঞ্জের বল্লভপুরের ষষ্ঠীতলা এলাকায় বিশাল অংশ জুড়ে ধস নামে। এই ধসে বড় কুয়োর মতো গর্ত হয়েছে। যেখানে এই ধসের ঘটনা ঘটেছে তার ঠিক পাশেই রয়েছে মনোজ বাউড়ির বাড়ি। মনোজবাবু বলেন, ২০২২ সালে এই এলাকায় একটা বড় ধরনের ধসের ঘটনা ঘটেছিল। তারপরেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবার নতুন করে আরেকটি জায়গায় বড় আকারে ধস নামলো। এতে এই এলাকার মানুষেরা আতঙ্কিত।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা অনিতা বাউড়ি বলেন, শনিবার রাতে সামান্য ধস হয়েছিল। আমরা আতঙ্কে সারারাত ঘুমোইনি। রবিবার সকালে দেখলাম ঐ এলাকায় ধসটা বেড়েছে। এই ঘটনার কথা জানার পরে রানিগঞ্জ থানার পুলিশ এলাকায় আসে। দুজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে এলাকায় পাহারার জন্য বসিয়ে রাখা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
হেমন্ত প্রভাকর বলেন, গোটা এলাকায় একশোটির মত পরিবার আছে। সকলেই রীতিমতো আতঙ্কে আছেন। বহু বছর আগে এখানে কয়লা তোলা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে ঠিকমতো বালি দিয়ে মাটির নিচে ফাঁকা জায়গা ভরাট করা হয়নি। গত বছরে যে ধস নেমেছিল সেখানে কোনমতেই প্রশাসন মাটি দিয়ে ভরাট করেই দায়িত্ব এড়িয়েছিল। আমি বিষয়টা নিয়ে স্থানীয় বিডিওকে ছুটির দিন থাকায় মেইল করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বললাম। সোমবার বিডিও অফিসে যাব। পুলিশ অবশ্য একটা গার্ডওয়াল দিয়ে ঘিরে রেখেছে ও দুজন সিভিক ভলেন্টিয়াররকে বসিয়ে রেখেছে। তবে যেভাবে এখানে ধস নেমেছে তাতে আশপাশের বাড়িগুলো ধসে যেতে পারে বা ফাটল হতে পারে। বিকেল পর্যন্ত এলাকায় ইসিএলের আধিকারিকরা কেউই আসেননি বলে জানা গেছে।