উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট শান্তিতে করতে সম্মিলিত প্রয়াস দরকার। কিছু জায়গায় অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্যপাল হিসেবে যৌথ প্রয়াস নিশ্চিত করব। শুক্রবার তপ্ত ভাঙড়ে গিয়ে এমনটাই বললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল জানান, কয়েকটি এলাকায় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সবটা খতিয়ে দেখা হবে। বম্বিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। সাংবিধানিক ভাবে হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। হিংসা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ রাজভবন থেকে বেরিয়ে ভাঙড়ে পৌঁছে বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকা ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় ছড়িয়েছিল অশান্তি। এদিন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর বিডিও অফিসে যান। সরাসরি বিডিওর সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার সময় উঠে আসে সওকত মোল্লা প্রসঙ্গও। রাজ্যপাল নিজের আধিকারিকদের প্রশ্ন করেন, ‘সওকত মোল্লা কে?’ তাঁকে জানানো হয়, সওকত মোল্লা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক এবং ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক। ভাঙড় কলেজে এদিন আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আইএসএফ কর্মীরা। রাজ্যপালকে অভিযোগ জানাতে কলেজের বাইরে জমায়েত হয়েছিলেন তাঁরা।
রাজ্যপালের ভাঙড় সফরকে ‘সাধুবাদ’ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল যে ভাবে ভাঙড়ে গেলেন, তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। রাজ্যপালকে নিশ্চিত করতে হবে যে, বাংলায় নির্ভয়ে ভোটে অংশ নিতে পারবেন সকলে। ’ এদিকে গতকালের ঘটনার পর এদিন ভাঙড়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে বম্ব স্কোয়াড। উদ্ধার হয়েছে ব্যাগ ভর্তি বোমাও।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতের মনোনয়নকে ঘিরে কয়েকদিন ধরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ভাঙড়ে। চলছে বোমা, গুলি। বিরোধীদের মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গতকাল এক আইএসএফ কর্মীর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। থমথমে রয়েছে এলাকা। এদিন সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় পৌঁছেছেন রাজ্যপাল।