রায়গঞ্জ: ৫ কেজি সোনা সহ আন্তর্জাতিক সোনা পাচার চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করল রায়গঞ্জ শুল্ক দপ্তর। শুল্ক দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মুন্না শর্মা। বাড়ি নেপালের কাঠমান্ডুতে। ধৃতের কাছ থেকে ১ কেজি ওজনের ৫টি সোনার বাট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার ভারতীয় বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকা। ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতকে রায়গঞ্জ মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার রাত এগারোটা নাগাদ মুন্না শর্মা শিলিগুড়ি থেকে বিহারের মোতিহারির উদ্দেশ্যে একটি বেসরকারি বাসে রওনা দেন। তার সঙ্গে ছিল পাঁচ কেজি সোনার বাট। এরপর উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা থানার সূর্যপুর টোল ট্যাক্সে ওই বাসটিকে আটক করে তল্লাশি চালায় ডালখোলা শুল্ক দপ্তর ও রায়গঞ্জের শুল্ক দপ্তরের সুপারিনটেনডেন্টের নেতৃত্বে চার সদস্যের টিম। তল্লাশি করার সময় অভিযুক্ত বাস থেকে নেমে পালাতে গেলে ধরে ফেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীরা। এরপর রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় শুল্ক দপ্তরে নিয়ে এসে দিনভর চলে ম্যারাথন জেরা। ধৃতকে জেরা করেই উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সূত্রের দাবি, ধৃত জানিয়েছে কালো টাকা সাদা করতে পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশ নেপাল, বাংলাদেশ, চীনে। সেই টাকা ফিরে আসছে সোনা হয়ে। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে নেপাল বাংলাদেশের হুন্ডি কারবারিরা। সীমান্তে এই জন্য কাজ করছে বিশেষ দল। তারাই মোটা কমিশনের মাধ্যমে নগদ টাকা পারাপারের দায়িত্ব নিচ্ছে। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে শুল্ক ও আয়কর দপ্তরের বিশেষ টিম উত্তরবঙ্গজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে। শুল্ক দপ্তরের পাবলিক প্রসিকিউটর আশীষ সরকার বলেন, গোটা ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে।