উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার ভোর থেকেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি নবান্ন চত্বরে। ধর্নায় বসা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল নবান্ন চত্বরে আন্দোলনে বসতে পারবেন যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। রাতে ধর্নায় বসতে পুলিশ বাধা দিলে তাঁরা জানান সকালেই আসবেন। সেইমতো এদিন ভোর থেকেই নবান্নের কাছে পৌঁছে যান আন্দোলনকারীরা। প্রথমে ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলনকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। আর তাতেই ঝামেলা শুরু হয়। বাধা পেয়ে নবান্নের সামনে রাস্তাতেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। ধর্নায় বসা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, নবান্নের কাছে বাসস্ট্যান্ডে ধর্নায় বসার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু তাদের ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ।
ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর নবান্নর সামনে অবস্থান বিক্ষোভ ও সভা করবেন। তবে এই সভার অনুমতি দেয়নি হাওড়া পুলিশ। তারপরই অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন আন্দোলনকারীরা। মামলা গ্রহণের সময় যদিও বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছিলেন, হাওড়ার যেখানে আপনারা সভা করবেন বলছেন, তা অত্যন্ত ব্যস্ত জায়গা। তাই সেখানে সভা করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সেনগুপ্ত না বসায় ডিএ আন্দোলনকারীদের মামলা শোনেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুনানি শেষে আন্দোলনকারীদের সভা করার অনুমতি দেন তিনি। ৭২ ঘণ্টা সভা ও অবস্থান করার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট।
রাজ্য সরকারি কর্মীরা এতদিন ৬ শতাংশ ডিএ পেতেন। এবার রাজ্য় সরকার আরও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ, জানুয়ারি থেকে রাজ্য় সরকারি কর্মচারীরা ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন। আর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ৪৬ শতাংশ ডিএ পান। অর্থাৎ, কেন্দ্র ও রাজ্য় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক এখনও ৩৬ শতাংশ।