জলপাইগুড়ি: বাজারে দার্জিলিংয়ের সুস্বাদু কমলালেবুর (Darjeeling orange) চাহিদা রয়েছে যথেষ্ট। অথচ দিন-দিন হ্রাস পাচ্ছে এই কমলালেবুর চাষ। তাই পাহাড়ে কমলালেবুর চাষ আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে এবার দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। রাজ্য হর্টিকালচার দপ্তরের উদ্যোগে আগামী ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি কমলালেবুর চাষ নিয়ে কালিম্পংয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। উন্নতমানের কমলালেবুর (orange) উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কীভাবে মাটি তৈরি করতে হবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেবেন ওই আলোচনা সভায়। এতে ব্রাজিল, আমেরিকা, ভুটান ও নেপালের বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি নাগপুর, সিকিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কমললেবু উৎপাদনকারী রাজ্যগুলি থেকেও বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করবেন।
রাজ্য হর্টিকালচার দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি তথা রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ডঃ সুব্রত গুপ্ত বলেন, ‘রাজ্যের উৎপাদিত ফলগুলির মধ্যে দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর আলাদা কদর রয়েছে। এই লেবুর চাহিদা যেমন তরাই-ডুয়ার্সে রয়েছে, তেমনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও এর চাহিদা কম নয়। তবে বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ে কমলালেবুর চাষ কমেছে। প্রত্যাশিত উৎপাদন হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্যই দেশের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, বিশেষজ্ঞরা দার্জিলিং (Darjeeling) এবং কালিম্পংয়ের (Kalimpong) কমলালেবু উৎপাদিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন। তাঁদের মতামত লিপিবদ্ধ করে কমলালেবুচাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে। কমলালেবু চাষের প্রসার ঘটলে পাহাড়ের অর্থনৈতিক অবস্থার যেমন উন্নতি হবে, তেমনি কমলালেবুপ্রেমীদের কাছে সহজে পাহাড়ের কমলালেবু পৌঁছে দেওয়া যাবে। রাজ্য সরকার পাহাড়ে কমলালেবু চাষের প্রসার ও গুণগত মানের উন্নতির বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ করতে সংকল্পবদ্ধ বলে তিনি দাবি করেন।