উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ইস্তফা দিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের কাছে ইমেল মারফৎ ইস্তফা পাঠান স্নেহমঞ্জু।যদিও ইস্তফাপত্র এখনো গৃহীত হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর থেকেই রাজ্যের পাশাপাশি উত্তাল হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় ১৩ জনকে। সম্প্রতি একজন অভিযুক্ত জামিন পায়।তবে সমগ্র ঘটনায় প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় সৌরভ চৌধুরী নামে এক প্রাক্তনীকে।
রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু শুক্রবার একটি চিঠি পান। সেখানে লেখা ছিল, ‘সৌরভকে পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। ওঁর বিরুদ্ধে কিছু করলে দেখে নেব। রিভলভারের একটা গুলিই যথেষ্ট।’রানা রায় নামে এক অধ্যাপকের নাম করে লেখা হয়েছে চিঠি। ওই নামে কোনও অধ্যাপক রয়েছে কিনা পুলিশ তা জানতে চান স্নেহমঞ্জু বসুর কাছে। এর উত্তরে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নামে কোনও অধ্যাপক নেই।
স্বাভাবিকভাবে এই চিঠি হাতে পাওয়ার পরই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।সিদ্ধান্ত নেন পদত্যাগের।
যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু উপাচার্যের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান।সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ইস্তফাপত্রেও উল্লেখ রয়েছে হুমকি চিঠির কথা।তিনি যে যথেষ্ট ভয় পাচ্ছেন তাও এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন।কিন্তু উপাচার্য এখনও তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি।
উল্লেখ্য, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে তালিকায় প্রথম নাম ছিল সৌরভেরই। তিনি প্রাক্তনী হয়ে কেন হস্টেলে থাকতেন? ঘটনার দিন কি কি হয়েছিল?সবকিছুই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বর্তমানে তিনি জেলেও রয়েছেন। তারপরেও কে বা কারা তার নাম নিয়ে রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি পাঠালেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে ধোঁয়াশা।