নয়াদিল্লি: মণিপুর নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। সেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আগামী ৮ অগাস্ট সংসদে আলোচনা হবে। ১০ অগাস্ট জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মণিপুরে। মণিপুর হাইকোর্ট মেতেইদের তপসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই কুকি, সহ বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। সেই ঘটনা থেকেই হিংসার সূচনা হয় সেখানে। রাজ্যে হিংসার মধ্যেই দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ।
গত ৪ মে মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলেও দাবি। বিবস্ত্র করে হাঁটানোর সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। মণিপুরের ঘটনার নিন্দায় সরব হয় নানা মহল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নীরবতা ভাঙেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মণিপুর নিয়ে ৭৮ দিন মৌন থাকার পর মোদি বলেছিলেন, ‘এই ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের লজ্জা।’ যদিও মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব হয় বিরোধীরা। এই নিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে।
লোকসভায় শাসকদল এনডিএ-র হাতে রয়েছে ৩৩১ জন সাংসদ। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সমর্থনে রয়েছেন ১৪৪ জন। ফলে সংখ্যার হিসাবে এই অনাস্থায় বিরোধীদের হারই হবে। তবুও অনাস্থা এনে লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদি সরকারকে বিরোধীরা চাপে রাখতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, মণিপুর নিয়ে যাতে সংসদে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই মণিপুর নিয়ে উত্তপ্ত সংসদ। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা মণিপুর নিয়ে বলবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে অনড় বিরোধীরা।