নয়াদিল্লিঃ কলকাতা হাইকোর্টে তার জামিনের মামলার শুনানি হচ্ছে না, দিনের পর দিন ধরে মামলা ঝুলে আছে- এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেও স্বস্তি পেলেন না গোরু পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তিহাড় জেল বন্দি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেন৷ মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং পঙ্কজ মিত্তল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা সেহগল হোসেনের তরফে দায়ের করা এই ভিত্তিহীন মামলার আবেদন খারিজ করছেন৷ দীর্ঘদিন ধরে জামিনের মামলার শুনানি হচ্ছে না যখন তখন কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন না করে কেন সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করছেন সেহগল, এই প্রশ্নও তোলেন শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি৷ হাইকোর্টের বিচারাধীন বিষয়ে তারা এই ভাবে হস্তক্ষেপ করবেন না, সাফ জানান বিচারপতিরা৷
অন্যদিকে গোরু পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তিহার জেল বন্দি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে, এমনটাই মনে করছেন অনুব্রতর মামলার সঙ্গে জড়িত আইনজীবীদের একটা বড় অংশ৷ আইনজীবীদের অভিযোগ, এর মূলে আছে আইনি জটিলতা এবং ইডির কয়েকটি পদক্ষেপ৷ অনুব্রতর আইনজীবীরাই দাবি করছেন, দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে গোরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রতর বিরুদ্ধে যে চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি সেখানে অনুব্রতর বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বাংলায়৷ আদালতের প্রচলিত ভাষা না হওয়া সত্ত্বেও দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত কিভাবে ইডি চার্জশিটে বাংলায় লেখা অনুব্রতর বয়ান তাদের রেকর্ডের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছে, প্রশ্ন তুলছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা৷ এই মর্মে তাঁরা শীঘ্রই রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে নতুন করে আবেদন করবেন যেখানে অনুব্রতর বয়ানের ইংরেজি তর্জমা চাওয়া হবে, দাবি জানিয়েছেন অনুব্রতর আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষাল৷ এসবের মাঝেই তাঁরা বুক বাঁধছেন ২৯ অগাস্টে দিল্লি হাইকোর্টের শুনানির দিকে তাকিয়ে৷ সেদিন অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মামলার শুনানি নির্ধারিত আছে৷ অনুব্রতর আইনজীবীদের আশা, বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করবে দিল্লি হাইকোর্ট৷