রায়গঞ্জ: রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সহ একগুচ্ছ দাবিতে অনশনে বসল বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে তৈরি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, সর্বত্র রেল (Rail) যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটছে। নতুন নতুন রেল চালু হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মধ্যে একমাত্র রায়গঞ্জের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সেরকম উন্নয়ন হয়নি। রায়গঞ্জ (Raiganj) জেলা সদর হয়েও রেল যোগাযোগে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে। উড়ালপুলের কাজও আটকে আছে। বাড়ি বাড়ি পৌঁছায়নি পানীয় জল (Drinking Water)। হচ্ছে না পৌরসভার নির্বাচন। তাই শুক্রবার ২০ দফা দাবিতে একদিনের জন্য রায়গঞ্জ শহরের রেল স্টেশনের পাশে রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশে অনশনে বসেন তাঁরা।
বিজেপি নেত্রী বীণা ঝা বলেন, “রাধিকাপুর থেকে দিল্লির ট্রেন যেটা রায়গঞ্জের অধিকার, এই ট্রেনটা আমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে রাধিকাপুর-কামাখ্যা অথবা আলিপুরদুয়ার প্রতিদিনের এক্সপ্রেস ট্রেন দ্রুত চালু করতে হবে। রায়গঞ্জের বাসিন্দারা জেলা সদরে থেকেও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। তাই রায়গঞ্জবাসীকে নিয়ে বড়সড় আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।” বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, “যানজট রুখতে উড়ালপুল খুব প্রয়োজন। রায়গঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে এবং প্রতিশ্রুতি মতো বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দিতে হবে। যাঁরা ঘর পায়নি তাঁদের ঘর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, “আজ ২৪ ঘন্টার জন্য অনশন করলাম দাবি পূরণ না হলে এরপর বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”
যদিও বিজেপির জেলা সহ সভাপতি নিমাই কবিরাজের দাবি, “আমাদের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী রায়গঞ্জ সহ জেলার রেল পরিষেবা উন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছেন। বেশ কিছু কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এতদিন অন্য কোনো সাংসদ রেল নিয়ে কোনো চিন্তা ভাবনা করেনি।” এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি অরিন্দম সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, “বিজেপি সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ হয়েও রেলের উন্নয়ন নিয়ে কোনও ভাবনা আমরা দেখিনি। শুধু ভোটের জন্য রেল নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন সাংসদ। রায়গঞ্জ শহরে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। যারা প্রকৃত দুঃস্থ মানুষ তারাই ঘর পেয়েছেন। আর নির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।”