রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জের বিধায়ক একতরফাভাবে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালনা করছেন। তৃণমূল বলে কোনও দল বিধায়ক রাখেননি। বিধায়ক নিজের মৌরসিপাট্টা কায়েম করেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এমনই অভিযোগ তুলে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগ দিলেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ি সহ সভাপতি মানস ঘোষ। বৃহস্পতিবার বিজেপির জেলা কার্যালয়ে জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ও রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন তিনি।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানস ঘোষ তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে পঞ্চায়েত সমিতিতে দাঁড়ান। ভোটে জেতার পর তৃণমূলে যোগ দিয়ে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি হন। এদিন মানসবাবু বলেন, ‘সৎভাবে যাঁরা তৃণমূল করেছেন, দল তাঁদের কোনও মূল্যায়ন করেনি। রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী দলের কারও সঙ্গে কিছু আলোচনা না করে নিজের অনুগামীদের নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী চয়ন করেছেন। এর ফলে তৃণমূলের নীচু স্তরের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছিল। তাই বিধায়কের অপশাসন থেকে গ্রামের মানুষকে মুক্ত করতেই তৃণমূল ছাড়লাম।’ এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও ব্যাপক বিষোদগার করেন মানস। তাঁর কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গে তুমুল নৈরাজ্য চলছে। সেই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বিজেপি ছাড়া বিকল্প কোনও দল পশ্চিমবঙ্গে নেই।’
বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘মানসবাবু আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি শুরু থেকেই দলে থেকে মীরজাফরের ভূমিকা পালন করছেন। অনেককেই তিনি তৃণমূল থেকে বিজেপি ও কংগ্রেসে যোগদান করিয়েছিলেন।’ বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার জানান, মানস ঘোষের রাজনৈতিক প্রোফাইল যাচাই করেই তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ নিঃশর্তভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। আগামীতে সাংগঠনিক কাজে তাঁকে কাজে লাগানো হবে।