পুরাতন মালদাঃ প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তিনি প্রচারে নেমেও পড়েছেন। কিন্তু মালদা বিধানসভার কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার (অর্জুন) গেলেন কোথায়? তাঁকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। চায়ের দোকান, পাড়া থেকে হাটেবাজারে এখন এনিয়েই জোর চর্চা। তিনি জেলা কংগ্রেসের সহ সভাপতি। অথচ দলীয় প্রার্থী মোস্তাক আলমের হয়ে এখনও তাঁকে প্রচার করতে দেখা যায়নি বলেই জানাচ্ছেন উত্তর মালদার ভোটাররা। এতে উত্তর মালদার মালদা বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রচার কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এই মুহূর্তে মালদা বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি প্রকাশ্যে মিটিং-মিছিল, রোড শো চলছে প্রায় প্রতিদিনই। কিন্তু কংগ্রেসের কোনও প্রচার নেই। প্রাক্তন বিধায়ককে দেখতে না পাওয়ায় কর্মীদের মনোবলও ভেঙে পড়ছে। অনেকেই সক্রিয়ভাবে প্রচারের ময়দানে নামতে পারছেন না। অনেক বুথস্তরের কর্মী প্রাক্তন বিধায়কের দিকে চেয়ে রয়েছেন। ওয়াকিবহল মহল মনে করছে, প্রার্থী নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল মাথাচাড়া দেওয়াতেই প্রাক্তন বিধায়ক অন্তরালে চলে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এবার উত্তর মালদায় প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন ভূপেন্দ্রনাথ হালদারও। এতে এই এলাকার কংগ্রেসের কর্মীরা উজ্জীবিত ছিলেন। কিন্তু প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না থাকায় কর্মীদের মনোবল ভেঙে যায়। এতেই পুরাতন মালদা শহর ও ছটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কংগ্রেস এখনও প্রচার শুরু করেনি বললেই চলে।
যদিও বিষয়টি মানতে নারাজ অর্জুনবাবু। তাঁর দাবি, তিনি প্রতিদিনই বুথভিত্তিক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘জনসমক্ষে প্রচারের চেয়ে আমরা গ্রাউন্ড লেবেলে বেশি প্রচার চালাচ্ছি। প্রতিটি বুথে টিম তৈরি করে ভোট প্রচার হচ্ছে। যাঁরা প্রকাশ্যে ভোট প্রচার করছেন তা লোক দেখানো। ওই ধরনের প্রচার আমরা ইদের পর চালাব। এখন প্রকাশ্যে ভোট প্রচারের চেয়ে আমরা বুথভিত্তিক প্রচারে বেশি জোর দিচ্ছি। কেউ যদি ভেবে থাকেন আমি প্রকাশ্যে আসছি না তাহলে সেটা ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’
মুচিয়া অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি চিত্তরঞ্জন মৃধা বলছেন, ‘ভোট প্রচার আমরা এখনও সে অর্থে শুরু করিনি। তবে প্রার্থী নিয়ে আমাদের কোনও ক্ষোভ নেই। প্রার্থীর হয়ে কর্মীস্তরে প্রচার চলছে। ব্যালট পেপার ছাপানোর পর বাড়ি বাড়ি প্রচার চলবে।’